জানতাম The Uninvited একটি হরর মুভি। হরর মুভি দেখব আর ভয় উপভোগ করব না তা কি হয়? তাই ভয় পাওয়ার আশা নিয়ে ঘর অন্ধকার করে মুভিটি দেখতে বসেছিলাম। কিছু দূর দেখার পর বুঝলাম, এটি একটি হাইব্রিড জাতের মুভি। হরর জেনারের মোড়কে মিস্ট্রি, থ্রিলার ও ড্রামার সংমিশ্রণ। তাই কাঙ্খিত ভয় পাওয়াটা আর হয়ে উঠলো না। অবশ্য হরর তকমার খুব কম মুভি দেখেই সত্যিকারের ভয় পেয়েছি। দি আনইনভাইটেডে কিছু চমকানো মুহুর্ত আছে, তাড়িয়ে বেড়াবার মতো কোন ভয়ের দৃশ্য নেই। তাই বলে কি মুভিটি ব্যর্থ? তেমনটা না।
কাহিনীর জট খুলার আশায় শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত দি আনইনভাইটেড দর্শকদের আকর্ষণ ধরে রাখতে সক্ষম। গল্পের শেষটা প্রেডিক্টেবল মনে হলেও আসলে দেখা যায় যা ধারণা করা হয়েছিল তা নয়। দর্শকদের চোখে ধূলা দেয়া হয়েছে। ঘটনা অন্য কিছু। সারপ্রাইজিং টুইস্ট।
'দি আনইনভাইটেড' নামটি, মুভির ট্যাগলাইন (fear moves in), পোস্টার ও নির্মাণশৈলী হরর মুভি প্রমিজ করলেও মুভিটি আর দশটি হরর মুভির মতো হয়ে ওঠেনি। তবে একাধিক জেনারের মিশ্রণে মুভিটি উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে এমিলি ব্রাউনিং ছিল পারফেক্ট কাস্ট। এলিজাবেথ ব্যাঙ্কসকে এই মুভিতে অন্যরকম লেগেছে। ক্যামেরার কাজ ছিল প্রশংসনীয়। গল্পের প্রধান টুইস্টটি একেবারে নতুন কিছু না হলেও মুভিতে প্রয়োগ হয়েছে চমৎকার।
The Uninvited (2009) মুভিটি ২০০৩ সালের সাউথ কোরিয়ান হরর মুভি A Tale of Two Sisters-এর আমেরিকান রিমেক হলেও আমি মুভিটিকে হরর মুভির বদলে সাইকোলজিকাল থ্রিলার বলতে অধিক আগ্রহী। মুভিতে দেখা যাবে মানসিক হসপিটাল ফেরত অ্যানা (এমিলি ব্রাউনিং) তার মায়ের ভূত দেখতে শুরু করে। অ্যানার অসুস্থ মা তাদের বোট হাউজে সংঘটিত অগ্নিকান্ডে মারা গিয়েছিল। অ্যানার মায়ের তৎকালীন নার্স (এলিজাবেথ ব্যাঙ্কস) এখন তার বাবার গার্লফ্রেন্ড। অ্যানা ও তার বোন অ্যালেক্স তাদের মায়ের মৃত্যুর সঙ্গে বাবার গার্লফ্রেন্ডের সংযোগ খুঁজতে থাকে। এগিয়ে যায় মুভির কাহিনী।
রেটিং: ৩.৫/৫
ছবি: দি আনইনভাইটেড মুভির একটি দৃশ্য
___
সাম্প্রতিক পোস্ট: **মুভি রিভিউ** দেবদাস থেকে দেব. ডি