অ্যালবামের প্রথম গান জিন্দেগি দো পাল কি। দরদি কণ্ঠের গায়ক কে. কে. এই গানের প্রধান সম্পদ। ইন্ডিয়ান ও ওয়েস্টার্ন ইন্সট্রুমেন্টের ফিউশন করা হয়েছে এর মিউজিকে। ব্যবহৃত হয়েছে পারকাশন। গিটারের ব্যবহার অসাধারণ। রোমান্টিক ধাঁচের এই গানটির অন্তরা আকর্ষণীয়। প্রেমিকার জন্য অস্থির প্রহর গোণা হয়েছে গানটিতে।
দিল কিউ ইয়ে মেরা গানটিও কে. কে-র গাওয়া। স্লো টেম্পোর রোমান্টিক গান। হারিয়ে যাওয়া ভালবাসার জন্য বিলাপ ফুটে ওঠে গানটির কথায়। তবে তা প্রকট শোনায় না, বরঞ্চ কেমন যেন একটা শান্ত ভাব। গানটির মাঝে কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যাওয়া যায়।
তৃতীয় গান তুম ভি হো ওয়াহির ইন্সট্রুমেন্টেশনে কিছু বৈচিত্র আনার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশাল দাদলানিকে দিয়ে শুরুটা ধীর গতির হলেও পরে আকর্ষণীয় হাই ভোকাল স্কেল নিয়ে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সুরজ জগান। যা গানটিতে কিছুটা রক অনুভূতি এনে দেয়।
ব্যালাড গান কাইটস ইন দি স্কাইয়ে অভিনেতা ঋত্বিক রোশানের প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে আবির্ভাব হওয়া নিয়ে পূর্ব থেকে মিডিয়াতে যে ব্যাপক উৎসাহ প্রকাশ করা হয়েছিল গানটি শোনার পর তা বাড়াবাড়িই মনে হয়েছে। বর্ণনাধর্মী গায়কীতে গানটিতে সর্বসাকূল্যে ঋত্বিকের গলা শোনা যাবে ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ড। অবশ্য পুরোটাই ইংরেজিতে। গানটিতে মিউজিকের ব্যবহার কম হয়েছে। সাড়ে পাঁচ মিনিটেরও বেশি দৈর্ঘ্যের গানটির শুরু ও শেষটা করেছেন সুজানি ডি'মেলো। তিনি লিরিকের স্প্যানিশ অংশটুকুও গেয়েছেন। উল্লেখ্য, কাইটস মুভিটিতে স্প্যানিশ অভিনেত্রী বারবারা মোরি অভিনয় করেছেন।
পঞ্চম ট্র্যাক 'ফাইয়ার' যতোটা না গান তার চেয়ে বেশি ইন্সট্রুমেন্টাল। লিরিক আছে একদম শেষ দিকে। মুভির নায়ক ঋত্বিক রোশানের ডান্স ক্যারিশমা প্রদর্শনের জন্যই যেন ট্র্যাকটি রাখা হয়েছে। এই ডান্স নাম্বারটিতে ভোকাল পারফর্ম করেছেন - রাজেশ রোশান, বিশাল দাদলানি, অনিরুদ্ধ ভোলা ও আনুষ্কা মানচন্দা।
কম্পোজিশন ভালো হলেও পুরো অ্যালবামের সাউন্ডে খুব একটা নূতনত্ব নেই। রাজেশ রোশানের আগের অ্যালবামগুলোর তুলনায় কাইটস পিছিয়ে আছে বলা যায়।
সেরা ট্র্যাক: দিল কিউ ইয়ে মেরা, জিন্দেগি দো পাল কি
রেটিং: ৩/৫
____
সাম্প্রতিক পোস্ট: **মুভি রিভিউ** আয়রন ম্যান ও রবিন হুড