আজ প্রকাশিত হবে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত রাজাকার নিজামীর রায়। আসুন জেনে নিই ১৯৭১ সালে তার অতীত ঘৃনিত কর্মকান্ডগুলো কি কি?
নিজামীর অপরাধনামা-
১) পাকিস্তানী বাহিনী রাজাকার আলবদর বাহিনীর সহযোগিতায় গণহত্যা চালায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো ডেমড়ার গণহত্যা। এখানে প্রায় ৮শ’ মানুষকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়। মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট শামসুল হক নান্নু বলেন, ১৪ মে শুক্রবার ডেমড়া গণহত্যার অন্যতম নায়ক ছিলেন মাওলানা নিজামী। হত্যাকান্ডের দু’দিন আগে এসে তিনি স্থানীয় রাজাকার আলবদর বাহিনীর সঙ্গে পরিকল্পনা করেন। মাওলানা সোবহান, রফিকুন্নবী বাবুল, হাসান মওলানা এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
২) ২৭ নভেম্বর ধুলাউড়িতে ২১ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ অনেক লোককে হত্যা করা হয়। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া আহত মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান বলেন,‘ নিজামীর নির্দেশে ছাত্তার রাজাকার আমার গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করলে, আমি মরার ভান করে পড়ে থাকি। আল্লাহ আমাকে বাচিয়ে রেখেছে। মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান বলেন, ধুলাউড়িতে হত্যাকান্ডের পর অনেক লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়। আমি গাছে উঠে বেঁচে যাই। পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মাজেদ বলেন, নিজামীর নির্দেশেই সেদিন গণহত্যা চালানো হয়েছে। সঙ্গে ছিলেন সোবহান মাওলানা, হাসান মাওলানা ছাড়াও আরো অনেক রাজাকার।
৩) সাঁথিয়ার করমজা বধ্যভূমির হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুল হক বলেন, ৮ মে ভোরে করমজাতে ৯ জনকে হত্যা করে পাকিস্তানী বাহিনীসহ রাজাকার আলবদররা। তাদের সঙ্গে ছিলেন রফিকুন্নবী বাবুল, আফজাল, আসাদ। বর্তমানে রফিকুন্নবী বাবুল কোটিপতি, ঢাকার ক্রিসেন্ট হোল্ডিং-এর মালিক এবং ঢাকা মহানগরের জামায়াত নেতা।
৪) মুক্তিযোদ্ধা কাজী আযম ও আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ১৯ এপ্রিল বেড়ার ডাব বাগানে ব্যাপক যুদ্ধ হয়। এতে ২৩ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ৪০ জন মারা যান। পরে এ এলাকায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী, রাজাকার আলবদর একটি ক্যাম্প করে। ঘরবাড়ি পোড়ানোসহ তারা অনেক মেয়েকে ধরে এনে তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এসব পাশবিকতায় নিজামী, মাওলানা সোবহান ও মাওলানা ইসাহাক সংশ্লিষ্ট ছিলেন। ডাব বাগানের নামকরণ করা হয়েছে শহীদনগর। পাবনা জেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল রহিম লাল জানান, পাবনার ওয়াপদার কাছে শত শত লোককে হত্যা করে পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের প্রধান হোতা নিজামী, মাওলানা সোবহান।
তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো প্রমানের সাপেক্ষে, এই কুখ্যাত রাজাকারের ফাঁসি চাই। ট্রাইবুনালের বিচারকদের প্রতি পূর্ন আস্থা রয়েছে আমাদের।
বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, রাজাকারের ঠাই নাই
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
কার্টেচিঃ সিপি গ্যাং