অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তরে “না” বলবেন। কারণ সত্যিকার অর্থেই যারা কথা বেশী বলেন তারা কখনো বুঝতেই পারেন না তারা বেশী কথা বলছেন। কথা বেশী বললে অযথা কথা চলেই আসে যা বিরক্তিই উৎপাদন করে থাকে সামনের মানুষটির মনে
১) যারা কথা কম বলেন তারা চিন্তা বেশী করেন। আর অনেক ক্ষেত্রেই কথা কম বলে চুপচাপ থাকার অর্থ হচ্ছে তারা মনে মনে চিন্তা করে চলেছেন। আর গবেষকগণের মতে, এই চিন্তা করার ক্ষমতাটিই কম কথা বলা মানুষকে বুদ্ধিমান করে তোলে।
২) গবেষণায় দেখা যায়, যারা চুপচাপ বেশী থাকেন এবং কথা কম বলতে পছন্দ করেন তারা লেখেন ও পড়েন বেশী। আর এতে তাদের বুদ্ধি ধারালো হতে থাকে। যারা বেশী কথা বলেন তাদের মধ্যেই এই বিষয়টি বেশ কম নজরে পড়ে।
৩) যারা চুপচাপ বেশী থাকেন তাদের মস্তিষ্ক অনেক দ্রুত কাজ করে এবং তারা নিজেকে শান্ত রেখে অনেক কিছু নিয়ে চিন্তা করে কোনো একটি ব্যাপারের ক্ষেত্রে নিজেদের মত প্রকাশ করে থাকেন। আর চিন্তা করে কথা বলার এই বিষয়টিই বুদ্ধিমান মানুষের পরিচায়ক।
৪) চুপচাপ থাকা মানুষ অন্যের কথা শুনে তা থেকে জ্ঞান নেয়ার চেষ্টা করেন এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন কিছু শিখতে নিজেকে প্রস্তুত করে নেন। অপরদিকে কথা বেশী বলা মানুষেরা শুধুমাত্র উলটো উত্তর ও আরও একগাদা কথা বলার জন্যই মুখিয়ে থাকেন এবং তেমন কিছুই শেখার চেষ্টা করেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯