ভোট গননা শুরু হল ৫।৩০ এ। চাচাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে মেম্বার নির্বাচন করলাম। । এখানে বিপুল ভোট এর বর্ণনা দেওয়া হল।
আমার চাচার নিকটতম প্রতিদন্দী পেয়েছিল ৫৩ টি ভোট। আর আমার চাচা তার থেকে ১২টি বেশি ভোট পেয়ে মেম্বার নির্বাচিত হয়েছি। । এ থেকে আপনারা চরের নির্বাচন সমন্ধে আশা করি একটু ধারনা পেয়েছেন। এখানে মোট ভোটার ছিল ১৬০ জনের মতো। গত বারের নির্বাচনে চাচা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। এবারের নির্বাচনে চাচা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এলাকার মানুষ জোর করে তাকে নির্বাচন করায়।
নির্বাচন শেষে আমরা নির্বাচন কেন্দ্র থেকে ফিরে আসছি।
চরের ফসলি মাঠ।
চরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা খাল।
চরের গ্রাম ও মেঠো পথ।
চরের বাড়ি ঘর ও গ্রাম। এরকম একটি গ্রামেই আমরা রাত কাটিয়েছিলাম।
মোরগ ডাকা ভোর
।
সকালে একটি পরিবার তাদের বাড়ির উঠানে নাস্তা করতে ব্যস্ত।
এক মা তার দুই শিশুকে নিয়ে নাস্তা করছে।
চরের একটি বাড়ি।
এই বাড়িতেই আমরা রাত কাটিয়েছিলাম।
শিশু দুটি তাদের পোষা কুকুরের সাথে খেলা করছে।
নির্বাচন কেন্দ্র থেকে ফিরে গ্রামের এক বাড়িতে আমরা রাত কাটাই। গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাটতে প্রচুর আনন্দ পাচ্ছিলাম। গ্রামের এক বাড়িতে রাত কাটানোর উদ্দেশ্যে আমরা থেকে যাই। হুহু করা ঠান্ডা হাওয়ায় শরীর জুরিয়ে আসছিল। যে বাড়িতে আমরা রাত কাটানোর উদ্দেশ্যে যাই সে বাড়ির গেরেস্ত আমাদের জন্য চরের বিলের টাটকা চিংড়ী ও অন্যান্য মাছ ধরে আনে । বিলের টাটকা মাছ আহ কি লোভনীয়। রাতে পুর্ন তৃপ্তি সহকারে মাছ ও ডাল ভাত খেলাম। রাতে অনেক রাত পর্যন্ত উঠানে বসে সবাই মিলে গল্প করছিলাম। খুব ভোর বেলা উঠে আমি আমার ক্যামেরা নিয়ে গ্রাম দেখতে বের হলাম। আমার ছবি তুলা শেষ হলে সকারের নাস্তা খেয়ে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম।
চরের একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ি। চরে চলাচলের জন্য সবাই হেটেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যায়। মালপত্র বহনের জন্য ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার করা হয়। আমাদের জন্য একটি ঘোড়ার গাড়ির ব্যবস্থা করা হল ঐ ঘোড়ার গাড়িতে করে আমরা আমাদের গন্তব্যস্থলে রওনা হয়ে গেলাম।
রাস্তার পাশে একটি বাড়ি। রাস্তায় যেতে যেতে আমি বার বার ঘোড়ার গাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছিলাম ছবি তোলার জন্য।
রাস্তার পাশে গরু ২টি এমন ভাবে বাধা ছিল যা দেখে আমি আর ঠিক থাকতে পারলাম না সাথে সাথে ছবি তুলে ফেললাম।
চরের দিগন্ত বিস্তৃত ফসলি মাঠ। যে দিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।
চরের একটি ক্ষেতে ব্যস্ত কৃষানী।
রাস্তার পাশে গাছ।
রাস্তার দু পাশে ঘন হয়ে থাকা কাঁশবন। এরকম অনেক স্থানেই দুপাশ থেকে কাশবন এসে রাস্তাটাকে এমনভাবে আটকিয়ে রেখেছিল যে দেখে পথ চলাই দায়।
দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ।
চরের ফসলি জমিতে এক ধরনের আগাছা জন্মায় যার পাতা থেকে পাটি তৈরী করা যায়। দুই বালিকা এই গাছের পাতা তুলতে ব্যস্ত।
পাটি তৈরীর জন্য জমাকৃত পাতা।
একটি বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তাটি একে বেকে চলে গিয়েছে। স্নিগ্ধ সকালে এমন একটি রাস্তা দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে যেতে যে কি মজা যারা না গিয়েছে তাদের তা কোনভাবেই বোঝানো সম্ভব না।
ফসলি মাঠের মাঝখানে ছোট্ট একটি গ্রাম।
গ্রামের ভিতরের দৃশ্য।
রাস্তায় যেতে যেতে দেখলাম। একটি ফসলি জমিতে এক কৃষক পরিবার তাদের ছোট একটি মেয়েকে ছাতার নিচে বসিয়ে রেখে তারা মরিচ তুলতে ব্যস্ত।
ছাতার নিচে ছোট্ট পরী।
ছাতার নিচে ছোট্ট পরী, পাশে জমাকৃত মরিচের স্তুপ। দুরে মরিচ ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে ব্যস্ত কৃষক কৃষানী
লালটুকটুকে মরিচ।
চলবে........
প্রথম পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০০