রংপুর থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। পথে লালমনিরহাটে বাস বদল করে অবশেষে পাটগ্রামে যখন পৌঁছলাম তখন দুপুর ১২টা আর ঘটনার শুরু এখান থেকে নয়। প্রথমদিন কাজ থাকাতে আর কোথাও যাওয়া হয়নি, সুতরাং সব প্ল্যান পরের দিনের জন্য তুলে রাখলাম।
বুড়িমারি স্থলবন্দর যাওয়ার সময় পথের দুপাশে পাথরের সমারহ। নদী/পাহাড় থেকে পাথর সংগ্রহ করে এই মাঠগুলোতেই ছোট আকারে ভাঙ্গার কাজ চলছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এখানেই স্থাপন করা হয়েছিল ৬নং সেক্টরের হেডকোয়াটার। সেসময় এই সেক্টরটির হেডকোয়াটারই শুধুমাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছিল, বাকীসবগুলোই বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের কাছাকাছি কোন জেলায় এবং পুরু যুদ্ধের সময় পাটগ্রাম ছিল মুক্তাঞ্চল।
বুড়িমারি রেল স্টেশন
বুড়িমারি স্থলবন্দর, ওপাশে ভারত, এপাশে বাংলাদেশ
সামনে তিনবিঘা করিডোর! বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা (বিস্তারিত উইকিপিডিয়ায়)
তিনবিঘা করিডোরে প্রবেশের ঠিক আগে পানবাড়ী বিজিবি চেকপোস্ট, আসলে সীমান্তে গেলেই দেশপ্রেম কাকে বলে বোঝা যায়
পোনবাড়ি থেকে অর্থাৎ বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে তিনবিঘা করিডোরের প্রবেশপথ
তিনবিঘার এই প্যসেজটিই দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার সাথে বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের একমাত্র সংযোগ সড়ক
তিনবিঘা করিডোরের চারপাশে কাঁটাতারের বেষ্ঠ্যনী
তিনবিঘা করিডোরের ভেতর ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের ক্যাম্প, মূলত প্যাসেজটির দুপাশেই তাদের বেশ কয়েকটি ক্যাম্প
এটি তিনবিঘা করিডোরের ভেতর বাংলাদেশ ও ভারতের দুটি সড়কের সংযোগস্থল। সোজা প্যাসেজটি দহগ্রামের দিকে চলে গেছে যা দিয়ে বাংলাদেশিরা যাতায়াত করেন ও আড়াআড়ি সড়কটি ভারতের মেঘলিগঞ্জ জেলার।
২০১১ সালের অক্টোবরে দহগ্রামের ১০ শয্যার একমাত্র এই হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়। যদিও আমার দেখে মনে হয়নি কার্যক্রম চালু আছে এখনো।
আঙ্গরপোতা জিরো পয়েন্টের দিকে যাওয়ার সময় চোখে পড়ল, মাঠের অর্ধেক বাংলাদেশের এর পর থেকেই ভারত
বর্ডর গার্ড বাংলাদেশ; বিনা অনুমতিতে ০ লাইনে (আঙ্গরপোতা ০ লাইন) প্রবেশ নিষেধ; সুতরাং অনুমতি নিলাম
আঙ্গরপোতা জিরো পয়েন্ট; সড়ক ও জনপদ বিভাগ
দুরের পিলারটির এপাশ বাংলাদেশের এবং এর কয়েক গজ পেছনে বাংলাদেশের একটি বাড়ির সামনে থেকে ছবিটি ধারণ করা
যেহেতু সামনে কুরবানীর ঈদ সেহেতু গরু চোরাচালানারে এই দৃশ্যটিও রাস্তায় চোখে পড়ার মত
এবং যথারীতি আমার বাসার সামনের লেকের পাড় থেকে সন্ধ্যা উপভোগ করি
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৬