গোবিন্দ রাম সাহা নামে একজন লবণের ব্যবসায়ী সেই ১৮ শতকের মাঝামাঝিতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াতিতে জমিদার পরিবারের গোড়াপত্তন করেন এবং ১৯ শতকের দিকে বাড়িটি নির্মান করেন। এই প্রাসাদ চত্বরটি প্রায় ১৬,৫৫৪ বর্গমিটার জমির উপর ছড়িয়ে থাকা ৭টি দক্ষিণমুখী দালানের সমাবেশ। ১৯ থেকে ২০ শতকের প্রথমভাগ পর্যন্ত জমিদার পরিবারের উত্তরসূরীরা প্রাসাদটি সম্প্রসারণ করেন। রেনেসা যুগে নির্মিত স্থাপত্যকৌশল ব্যবহারে নির্মিত এই প্রাসাদটি ২০ একরেও বেশি স্থান জুড়ে অবস্থিত। আসলে এই প্রাসাদটি একই রকম দেখতে কিন্তু পাচটি স্বতন্ত্র ব্লকের সমন্বয়ে গঠিত যার সর্ব পূর্বদিকের একটি ব্লক ব্যতিত বাকি চারটি ব্লক এখনো বিদ্যমান। বর্তমানে চারটি ব্লক আছে যার মধ্যে মাঝের দুইটি ব্লক, যার একটি দ্বীতল বিশিষ্ট এবং আরেকটি টানা বারান্দা বিশিষ্ট যা তিনতল বিশিষ্ট।
এই প্রাসাদের চারটি ব্লকের পিছন অংশে চারটি আলাদা আভ্যন্তরিণ ভবন বা অন্দর্মহল আছে। উত্তরদিকে কিছুদূরে অবস্থিত পরিত্যক্ত ভবনটি হল বহির্মহল যা কাঠের কারুকার্য সম্পন্ন। এই ভবনে প্রাসাদের চাকর বাকর, গাড়ি রাখার গ্যারেজ, ঘোড়াশাল ছিল বলে ধারনা করা হয়। এই বিশাল প্রাসাদটির চারপাশ সুউচ্চ দেয়াল দ্বারা পরিবেষ্টিত। এই প্রাসাদের তিনটি প্রবেশপথ আছে। যার প্রত্যেকটিতে অর্ধবৃত্তাকার খিলান আকৃতির সিংহ খোদাই করা তৌরণ বিদ্যমান। এছাড়াও পেছনের দিকে আছে বড় একটি পুকুর। শান বাঁধানো ছয়টি ঘাট আছে এ পুকুরের চার পাশে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্লকটি যাদুঘর। এই প্রাসাদটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত ও পরিচালিত।
সাটুরিয়া থেকে বালিয়াতি যাওয়ার পথেই পরবে এই ব্রিজটি
উৎসঃ উইকিপিডিয়া ও ছবিগুলো আমার
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৪