গরীবের বউ সবার কি ? একদম সহজ উওর ভাবী। গরীবের বউয়ের গোড়ালীর নীচে দেখা গেলে বলা হয় হাঁটুর উপর দেখা গেছে । গরীবের ছেলে দুষ্টামী করলে সেটা বেয়াদবী আর ধনীর ছেলে দুষ্টামী করলে সেটা বাঁদরামী। ঠিক তেমনি করে এরশাদ কিছু করলে লুচ্চামী হুমায়ন আহমেদ করলে সেটা শুদ্ধ প্রেম।
হুমায়ন আহমেদ শাওনের পরকীয়া নিয়ে গুলতেকিনের মন্তব্য ছিল ৪বছরের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলার নেই । । এতেই বোঝা যায় কতটা ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন মহিলা গুলতেকিন। এমন ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন নারীটিকে ছেড়ে বাজারী খ্যাত শাওনকে যে গ্রহন করতে পারে তাকে নিয়ে আসলেই কোন কমেন্ট না করে বেশ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে গুলতেকিন।
গ্রামাঞ্জলে একটা কথা আছে পিচ্চি পোলাপাইনের মুতে আছাড় খাওয়া বাক্যটা সেম লাইক পঁচা শামুকে পা কাটার মত। হুমায়ূন আহমেদের মত বুদ্ধিমান একজন মানুষ বাজারী শাওন কে চিনতে পারেনি এটা সত্যি মানতে কষ্টকর। যিনি মৃত্য নিয়ে অসম্বভ সুন্দর অনেক সাহিত্য সৃষ্টি করে গিয়েছেন উনার মৃত্যর পর বাজারী শাওন যে কত কি করতে পারে সেটা একবারও মাথায় আসেনি ?
শাওন যা শুরু করেছে তাতে শাওনের দোষ যতটা না তার চাইতে বেশী বাজারী শাওনকে চিনতে না পারার হুমায়ূন আহমেদের ব্যর্থতার ফসল মাত্র।
প্রিয়জনের লাশ হিমঘরে রেখে যে নারী টিভিতে সাক্ষাৎকার দিতে পারে সম্পত্তি নিয়েও কথা বলতে পারে সে বাজারী শাওনকে নিয়ে কিছু বলার নাই । শুধু বলব হুমায়ূন আহমেদের জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা মনে হয় গুলতেকিনের মত হীরাকে ছুঁড়ে ফেলে বাজারী শাওনকে আপন করে নেওয়া।
কাল রাত থেকে একটা কথা মনে হচ্ছে । গুলতেকিন মনে হয় হুমায়ূন আহমেদকে ক্ষমা করেনি....
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:২৮