যে, কষ্টের সওদা করে দূর্বাঘাসের মিহি কোষগুলো মাড়িয়ে মধ্যরাতে ঘরে ফেরে, তখন তারার বাসর পুষ্পিত করে আকাশ। হেঁটে হেঁটে গার্লস্ স্কুলের ডেফল গাছের দোষী অংশটুকু পেরুতে -এখন আর ভয় করেনা। বাল্যকালে এ পথাংশ’র জন্য অপেক্ষা করতে হতো কোন পথিকের। রাতের প্রাণীদের মাতম’র মধ্যে অতিক্রান্ত কালের সময়। অফ হোকনিয়া রোডে যাবার কালে জরাজীর্ণ কালভার্টটি বদলে গেছে। পরিবর্তিত অনেক কিছুর মতো। সময় শুধু বদলাবার দিন..
যে জন পূর্ণিমায় বলত, ‘আজ চাঁদ খুব সুন্দর’। এখন সে চাঁদের নিচে গভীর অন্ধকার। যে বৈশাখে বলত -রাত করবিনে, তাড়াতাড়ি বাড়ি আসবি। ছ’ঋতুর দিবাতনের মধ্যে হতো পায়েস, রুটি পিঠা, সন্দেশ, শীতল পিঠা, নুন মশলা। ছেলেবেলায় হারিয়ে যাওয়া দিনে, তাগদাহীন -বাড়ি না ফেরার ছলে। কে যেন আটকে রাখে..
সওদার থলেটি নিখোঁজ ব্যক্তিদের পেপারকাটিং’র ভারে ভারি হয়ে ওঠে ক্রমাগত। পৃথিবী-নির্মাণশৈলী’র উপাদানগুলো সিনার মাঝে জানুপাড়ি বসে। ন্যুব্জ দেহখানি কে কোল পেতে দেয় মৃত্তিকা-বৃক্ষ-তরুলতা। হয়তো এভাবে কোল পেতে নিয়েছিল -পৃথিবীর প্রথম কবর হওয়া মানুষের।
শরীর ধীরে ধীরে মিশে যায়.. ধূলিকণা হয়। নবজন্ম হওয়া অজ্ঞাত জনসংখ্যা হেঁটে যায় কাল থেকে কালান্তরে। স্মরণচিহ্নটি শুধু রয় হাড়-গোড়।
সত্ত্বাধিকারী: মাত্র এক মিটার একাত্তর সেন্টি মাপের অভাজন এক ওয়ালি। যে আন্ধাইরো হাঁটে -অনালোকিত আলোর লাগি।