অন্ত:স্রোতে নিশ্চিত দূরত্বের ধরাবাঁধা বিকাল ফুঁড়ে উঠে গুঞ্জনের পুরান বাড়ি। ও মন মানুষের ধন, কি সুখে চালাও অন্তর মাড়ি। আদম সন্তানমূলে সকল জমিনে; মৌরসী স্বত্বের অংশ চষে। অত:পর জমিন ভাগ হয়, ভূ-ভাগে দাগ হয়। মানুষ দাগী হয়। ব্যক্তি স্বার্থের প্রাপ্তব্য কষে।
ভাগাভাগির এই পৃথিবীতে মাটির তৈরি মানুষ অস্তিত্ব খোঁজে -মাঠির ঘর।
পদছায়ার সহি শিল্পনামা ১৯৮২-তে অকালপ্রয়াণে যায়। বৈরুতের শাতিলা ক্যাম্পের গণহত্যা, যেখানে ইতিহাস কথা কয়। এরই পাশে সেই প্যালেস্টাইন - যেখানে জন-দ্যা ব্যাপ্টিস্টের মস্তক চেয়েছিল রাজকন্যা সালোম। আর এখানেই মুসলমানদের মসজিদুল আকসা, খৃশ্চানদের যীশুর জন্ম ইহুদীদের হায়কল-ই-সুলায়মান। সেমেটিক ধর্মের মিলন কেন্দ্র-চেতনার মূলধারা। তবুও থামেনা রক্তপাত, থামেনা প্রাণহানি। মাটির তৈরি মানুষ মাটিতে মিলায়। মতভেদ ভিন্নতা, ভিন্ন মতবাদ। শান্তির অন্বেষণ থেকে সরে এসে গড়ে বিসম্বাদ। হিংসা হানাহানিতে শেষে যুদ্ধে গড়ায়।
তবুও অন্যায়ে পরাজিত নয় -ন্যায়-ই জয়ী হয়। ভাগাভাগীর এই পৃথিবীতে মাটির জীবকূল অস্তিত্ব খোঁজে -মাঠির ঘর। হেঁকে যায় ভোরের প্রার্থনা। এসো হে -মানুষে মানুষে গড়ি সম্প্রীতি, বন্ধনে বাঁধি অপরাপর। দুঃখ-কষ্ট ভাগ করি একে অন্যের। সৌহার্দ্যের পাশে গড়ি শান্তির নীড়।