বিশ শতকের পূর্ণ চাঁদের চন্দ্রিমায় স্নান করো। চিন্তার রসদে নীরিক্ষার সাধনা ঢালো। প্রদীপ্ত উচ্চারণে সূর্য্যে শোকোও - দূরঅতীতে। ভিটাহীন বসত এজমালী করে আজন্ম কর্মে ধরো। ব্যকূল হয়ে উঠে সকালের রোদ, নিতে যে শীতের শোধ। খাটিয়ায় বুনন করে ১২৩৭ দাগের পরবাসী বোধ। আটপৌরে জীবন, আমি বলছি - নিশুতি রাতের গল্পের কথন। উচ্চ-মধ্য-বিত্ত’র দু’ধারের দেয়াল, শ্রোতা হয়ে দাঁড়ায় সটান।
এমনও গহন রাত্রি তুমি, চাঁদের বোতাম ছেঁড়া ভূমি। দেহ থেকে শূণ্য মাইল বিরাজ করে দেহের কায়া। দূরত্বকে আটকে রেখে, ধরে রাখে আমার মায়া। অন্ত:চ্ছায়া, বুকের মধ্যিখানে চায় শুতে। সুপ্ত হয়ে জেগে ওঠে মাঝরাতে। টানা গদ্যের বালিশে ঘুম যাওয়া চতুর্থ প্রহরে -হাত রাখা সংবর্ধিত উচ্ছ্বাস। কবিতার বুকে আজ কেবলি মাঠির দীর্ঘশ্বাস। শরীরের মৃত্যু হলে, একপ্রস্থ কাগজ থেকে যাবে খসড়া খাতায়-বহুকাল ধরে। দীর্ণতার অর্গল মুক্তি পায় বর্ষার চৌধারে। আপন ভূখন্ডে র’চে জবানের বুনন। একক-দশক-সহস্র-নিযুতের সংখ্যাগুলো অবশেষে গায় এককের গান।
মনত ধরে নাই ওরে -তোর পরানের বারমাসী।
এক বিচ্ছিন্ন সমষ্টিক ভূমিকা ঝরে পড়ে -পরিবেশ থেকে। নির্বাচিত কষ্টরা ধূন ধরে, আশ্রিত হয় কবিতার হোটেলে রেখে। আমার প্রণয় সঙ্গ খোঁজে, খন্ড-বিখন্ড বিবাদে মজে। বানভাসি ইচ্ছা; অনিচ্ছার রাস্তা মাপে বসে -প্লাবনের ঘাসে। বন্যার্ত জীবনের ভেলায় ভেসে ভেসে। দীর্ঘ কবিতার চলমান পৃষ্ঠা সাথে, মানষতীর্থে মুষ্টিবদ্ধ হাতে -দাঁড়ায় তনয়। ঝুলিতে ভরা এক হিরন্ময় জীবনের গেরস্থালির বিনয়। তৃষ্ণানাতের্র হাঁড়ি-পাতিল অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুমায়। বাংলা মা - তখন তোমায় মনে পড়ে যায়। আটষট্টিহাজার গাঁয়ের উনানের ধোঁয়ায়। একমাত্র সম্বল হারানো কান্নার ভাষায়।
প্রত্যাগত রজনীমুখে লিখে থাকা ভূমিকায় মুখস্ত করা নাম। মেটোপথে অনাদরে ছড়িয়ে থাকা, পুষ্পমাসের এক আজলা ফুল -তোমায় দিলাম।