ফকিরালী, মুর্শিদীর নত্ত্ববিধান ছেড়ে দেয় নবান্নের উৎসবে। গুনজনে মেতে উঠে উঁচু-নিচু টিলাঘেরা সবুজাভ গ্রামের মেটোপথ। ঘরের উত্তরকোনার চড়ুই বেরিয়ে গেছে কবে? পাখ-পাখালিরা আল্পনা আঁকে, গেয়ে উঠে কৃতজ্ঞতার শপথ। দুরন্ত কৈশরের অবসর গড়িয়ে পড়ে - উঠোনে, পুকুরে, মাঠে, স্থায়িত্বহীন পদচারনায়। পরিবেশের প্রাচুর্যে ততদিনে কুশিয়ারার পানি সাগর ছুঁই-ছুঁই। শ্যামল বনভূমি গ্রহণ করে ঝংকার - জলে আর ডাঙ্গায়। পুরাতনকে খোলে ফেলে নববর্ষ -অঙ্গে কোন অসুন্দর রাখে নাই।
জেগে উঠেন শহরকুতুব, শহরে-নগরে। গলিপথ ধরে আগাছা মুড়ে হেঁটে বলেন -বিদায় গত বছরের ছায়া, বিদায়। তারবাদে, সাদা গোলাপের নিঃশ্বাস ভাসে, দুরে-সুদূরে। মুঠোবন্দী নিদ্রা কাতর গ্রাম্য কুঠিরেরদায়।
নির্ণীত বাক্যও নিখোঁজ হয়ে যায়; সুনামিতে হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মুখের মতো। লুকিয়ে থাকা আলোর নীচে, দুর হয়ে যাক -অন্ধকার যতো।