সবাইকে যেতে হয় যেহেতু -আমাকেও যেতে হবে। গৎবাঁধা পরিধির দাম্পত্যে, আপত্তি জানিয়ে আবেদন করে রিপুর বাহক। জীবনের আয়ু’র ভেতরে দিনরাত্রে, আহ্নিক গতির সূচীর সংসার পুষে সবে। অনুবাদ্য কতকথা’র দু:সময়ের কথক। যে এবাড়ি -ওবাড়ি প্রচার করে পূর্ণগ্রহনের ভূমিকা। বার্ষিক গতি ধারণায় রেখে প্রশ্ন জাগে, কবে? ..দলছুট অক্ষরের ব্লক থেকে খসে পড়ে বর্ণমালা, বিচ্ছিন্ন পদাবলির স্পর্শকাতর শিখা।
সূদীর্ঘ জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি অসম্পূর্ণ থেকে যায়, মূলসূত্র এবঙ সমকালীন দ্বন্দে। শব্দরা পালিয়ে বেড়ায় সন্ধ্যা বিহনে। দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনগুলো ধাক্কা খেয়ে ফিরে - মাঠির ঘরের মাঠির দেয়ালের স্কন্ধে। অনিশ্চয়তার জীবন নিয়ে বয়ে চলে লাখো গৃহহীন মানুষজনে। অনাহুত কষ্টের কুশলাদি জেনে গেছে সভ্যতা। আনন্দঘন মুহুর্তগুলো বঞ্চিত হয় বিমূর্ত অভিমানে। কবে সে নীরবতার ঘোর ভাঙ্গে -কে জানে। মরমীর স্বাক্ষরিত সনদে লৌকিকতার মরম খোলে। খোলে অন্তর আঁখির প্রেস বিজ্ঞপ্তি। অলিখিত শর্তাবলি’র শীর্ণ শাখা, ভরাট হয়ে যায় কালের আকালে। যদিও ভোরের সবুজপাতার সঙ্গে শিশির ধরে রাখার আনন্দে মাতে প্রকৃতির প্রাপ্তি - প্রতিদিন, দিনের আলোকে।
জন্ম দিবস থেকে মনুষ্যত্বের স্তবক জপে জপে, কথ্যরুপের অপভ্রংশ হয় জন্মান্তরে। বিরহের ঘরকান্না কি সৃষ্টির প্রথম পিতা-মাতা.. আদম-হাওয়া? অতঃপর চাষ হয়, বাস হয় মৃত্তিকার উদরে। ভরে উঠে বসবাসযোগ্য করে গড়া পৃথিবীর উপরিঅংশ। প্রান্তিক-সমাজ ঘেষে থাকে অদৃশ্য নিরাপত্তা বেষ্ঠনী - অনিরুদ্ধ ছায়া। স্মরণে রেখ হে -সবাইকে ছেড়ে যেতে হবে, ছাড়িয়ে সকল জাত পরিচয়ের সখ্যতার বিভাস।