[উৎসর্গ -এডওয়ার্ড সাঈদ শ্রদ্ধাষ্পদেষু]
দুইহাজার চার সালের ক্রোড়পত্রের সেলামী পর্বের প্রতিবেশী, নিরপরাধ বিশ্ব শিশু-অধিকার দিবসের নিপাঠ। হায়! লোপাঠ হয়ে গেছে নিদ্হাঠে।
শত বছরের নিদর্শন নিশ্চিন্ন করতে যাদুঘরকে ধ্বংশস্তুপ বানিয়ে রাখে নিকৃষ্ট বর্বর শক্তিগুলো। যেন নতুন প্রজন্ম জানতে না পারে - তাদের সমৃদ্ধ সঞ্চিত অতীত। আর মধ্যরাতে সন্তানের কান্নায় আতংকিত হয়ে উঠে মাতৃ-হৃদয়। হানাদারদের বুটের আঘাতে লুন্টিত হয় মানবতা। রহস্যজনক নীরবতা পালন করে মানবাধিকার সংগঠন। অপরদিকে গোমরে কাঁদে শান্তিকামী জগতের তাবত প্রাণময়।
যে মা বুকের মাঝে নবজাতকের খাদ্যসামগ্রী রেখে লুকিয়ে থাকে ঘরের কোনায়, অন্ধকারে। যে শিশু মরে যায় মায়ের কোলে; নিষ্পাপ, তারা কি জানত ছিল কোন অন্যায় পৃথিবীর সঙ্গে। হে নীরব সম্প্রদায়, আহত মানুষেরা ডাকছে তোমায়। শেষবারের মতো বলে যায় -এক হও অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
যাদের হত্যা করা হয়েছে, সে যদি আপনার সন্তান হয়, যে মানুষদের খুন করা হচ্ছে, সে যদি আপনার ভাই হয়, যে মহিলাদের সম্ভ্রম যাচ্ছে ; নয়তো মারা হচ্ছে -সে যদি আপনার বোন হয়, কি করতেন আপনি? ..জেগে উঠুন। জেগে উঠুক বিশ্ব, প্রতিবাদের শ্রেষ্ঠ প্রকাশে।
ক্ষত-বিক্ষত বুকের আর্তনাদে কেঁপে উঠা পৃথিবী - তার দেহ ঢেকে রাখে আকাশের মলাটে।