somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন নায়ক এবং আমাদের জীবন

২৩ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টাইটানিক মুভি দেখেনি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। মুভির মূল আকর্ষণ ছিল শেষ মুহূর্তে নায়ক বরফ পানিতে ডুবে মারা যায়। মারা যাওয়ার পর নায়িকা যখন নায়কের হাত ছেড়ে দেয় তখন সে ধীরে ধীরে পানিতে ডুবে যায়। এরকম মুভির উদাহরণ আরো অনেক আছে যেখানে নায়কের/নায়িকার মৃত্যু হয়, যার ফলে আমাদের মত আম-জনতা/দর্শকের চোখ দিয়ে পানি পড়ে। আর অভিনেতা পরিচালক প্রযোজক সবাই খুশি, কোটি কোটি টাকার ব্যবসা, মুভি সুপারহিট ব্লকব্লাস্টার।
কোন মুভিতে নায়ক মারা গেলে আমরা ব্যথিত হই, আমাদের মন খারাপ থাকে। কিন্তু ভিলেন মারা গেলে আমাদের কিছুই যায় আসে না, মন খারাপও হয় না। আমরা মনেই করে থাকি যে ভিলেনের মরা উচিত। সে অপকর্ম করছে তার বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। ঠিক তেমনি, নায়ক ছাড়া অন্য কেউ যেমন নায়িকার বাবা, কিংবা নায়কের কাছের বন্ধুটি কিংবা টাইটানিক মুভিতে জাহাজ ডুবে মারা যাওয়া শত শত মানুষ মরলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। কোন রকমে নায়ক বেঁচে থাকলেই হল। জনতা খুশি।
একটু ভেবে দেখুন তো, আপনার আমার চারপাশে কত মানুষ অপমৃত্যুর শিকার হচ্ছে? বাস দুর্ঘটনা, লঞ্চডুবী, ডাকাতি, বোমাবাজীতে কত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে? তার হিসাব কি আমাদের আছে? অথচ হটাত কোন এক রাজনীতিবিদ, কোন এক আমলা, কোন এক ব্লগার কিংবা কোন এক জনকে নিয়ে আমরা লেগে থাকি। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে ফেলি তার জন্যে। কেন শুধু একজনকে নিয়ে বারবার লিখছি। অন্য যারা মারা যাচ্ছে তাদের কি দোষ? তাদের নিয়ে কেউ লিখে না কেন। কারণ কি?
কারণ, সবাই নায়ক না, সবাইকে নিয়ে কথা বললে হিট হওয়া যাবে না। সমুদ্রে হাজার মানুষ ডুবে গেলে আমাদের মায়া লাগে না। কিন্তু কোন এক মিঠুন চক্রবর্তী যখন হাসপাতালে ভর্তি হন তখন আমাদের কান্না পায়। এটাই আমাদের মানষিকতা। হাজার বছর ধরে এই মানষিকতা আমরা লালন করে আসছি। যে মানষিকতায় মানবতা শুধু বড়দের জন্যে, ছোটরা সবসময় নিগৃহীত। কবি যখন বলে “এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি” তখন আমরাও সিদ্ধ হস্তে যার আছে তাকেই দেবার জন্যে প্রস্তুত থাকি। আমরা এমনই, আমরা এভাবেই থাকতে পছন্দ করি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×