ওড়না, একধরণের বস্ত্র। সাধারনত মেয়েরা পড়ে। তবে মাঝে মাঝে কিছু অতি উৎসাহী ছেলেদের পড়তে দেখা যায়। ওড়নার প্রধান ব্যবহার লজ্জা নিবারণ। তাছাড়া আছে বয়ফ্রেন্ডের মুখ মুছে দেয়া, চেয়ার টেবিলের ধুলা মোছা ইত্যাদি ইত্যাদি। কোন স্থানে কেঁটে গেলে ওড়না ছিঁড়ে যদি যদি লাগিয়ে দেয়া হয়, তাতে রোমান্টিকতা প্রকাশ পায়। বাংলা ও হিন্দি ছিনেমায় এটি প্রায় সময় দেখা যায়। তাছাড়া ডাকাতরা মুখ বাঁধার জন্যে এটি ব্যবহার করে।
ওড়নার আবিষ্কার কাল সঠিক জানা যায় নি। তবে আধুনিক যুগে এটি প্রায় বিলুপ্তির পথে।সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশী নারী সমাজ এর অন্যতম ধারকও বাহক। একুশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ২০১৪ সালে আমার মত এক অধম রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় ওড়নার একটি ক্ষতিকর দিক আবিষ্কার করে ফেলে। তা হল, ব্যাটারী চালিত টমটমে করে এক মেয়ে অতি উৎসাহে যাওয়ার সময়, ঝাঁকুনিতে মেয়েটির ওড়না ইঞ্জিনে লেগে যায়। সাথে সাথে মেয়েটির গলায় ফাঁস লাগে।যদিও সে মারা যায় নি, তবে তাকে পরবর্তিতে সি,এন,জিতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সামান্য ঘটনায় এত বড় স্ট্যাটাস প্রসব করা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে অন্যতম কারণ হচ্ছে, সেই পথে ফিরে আসার সময় দেখে, এক মেয়ের ওড়না রিক্সার চাকার সাথে আটকে গিয়ে রিক্সাটি প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেয়। এতে রিক্সার চাকার কিছু স্ক্রু খুলে যায় এবং প্রাইভেট কারের মালিক রিক্সাওয়ালাকে কয়েকটা থাপ্পড় দেয়। এছাড়া এক সমীক্ষাতে জানা গেছে আমাদের দেশে প্রতিদিন ওড়নার কারণে একটী করে রিক্সা দুর্ঘটনা ঘটে। তাই একই দিনে যখন ওড়নার কারনে দুইটা দুর্ঘটনা ঘটে, তখন কেন আমাদের ইলিয়াস ভাই সড়ক পথে রিক্সাতে ওড়না নিষিদ্ধ করার আন্দোলন করে না তা আমার বোধগম্য নয়।
অনেক কথা বলা হয়েছে, তবে মূল কথা বলা হয় নি। ওড়না বর্তমান যুগে সুপার-উমেনের(super-woman) প্রতীক।
উদাহারণ হাজার হাজার নারী। যারা ওড়নাকে গলায় পেঁচিয়ে তার লেজখানা (সুপার-ম্যানের মত) পিছনে ঝুলায় রাখে। তাছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা (সমাজের মুরব্বিদের সামনে) বাহারী রঙের ওড়না পড়ে হাজির হয়। তাতে মুরব্বিদের মনে কি হয় আমি জানি না। তবে আমাদের মত জোয়ানদের মনে হাজার প্রশ্নের উদয় হয়।
এক্ষেত্রে ওড়না ব্যবহারকারীরা বলতেই পারে , যার ওড়না সে পড়বে যেমনে ইচ্ছা তেমনে পড়বে।
তবে আমার পক্ষ থেকে অনুরোধ, ভালভাবে ওড়না পেঁচান, বিপদকে দূরে পাঠান।