রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে হঠাৎ কয়েকটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
মানুষ কি সত্যি ভবিষ্যত দেখতে পায়?
মানুষ ভবিষ্যত দেখতে পারলে কি হত?
মানুষ অতীত মুছে ফেলতে পারলেই বা কি হত?
এর উত্তর নিয়ে কিছুক্ষণ ব্রেণ নষ্ট করলাম।
প্রথম প্রশ্ন ছিল, মানুষ ভবিষ্যত দেখতে পায় কি? উত্তরঃ হ্যাঁ।
দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, ভবিষ্যত দেখতে পারলে কি হত? উত্তরঃ ভবিষ্যত অন্ধকার হত।
তৃতীয় প্রশ্ন ছিল, মানুষ তার অতীত মুছে দিতে পারলে কি হত? উত্তরঃ বর্তমানে আর আসা হত না।
মজার একটা বিষয় অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যত। বর্তমান নিয়ে বলার কিছু নাই।সে যেমন আছে তেমন থাক। অতীত ও ভবিষ্যত নিয়ে কিছু কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। অতীত আসলে কি? অতীত এমন এক অবস্থা যা পূর্বে বর্তমান ছিল।তারও পূর্বে ভবিষ্যত ছিল। তার মানে দাঁড়াচ্ছে বর্তমানে আমরা যেটা বর্তমান হিসাবে দেখছি সেটা অতীতে ভবিষ্যত ছিল। এথেকে বুঝা যাচ্ছে বর্তমানে আমরা ভবিষ্যতে এসে পৌঁছেছি। তাই অতীতকে আমরা মুছে দিতে পারিনা। কারণ যখনি অতীত মুছে দিতে যাব তখনই আমরা বর্তমানকে হারিয়ে ফেলব।
এবার এল ভবিষ্যতের কথা। আসলে আমি যদি ভবিষ্যত দেখতে পেতাম তবে আমি কি করতাম? উত্তর খুবই সহজ।বর্তমানটাকে অতীতের দিকে ঠেলে দিতাম। আর যেই মুহুর্তে আমি বর্তমানকে অতীতের দিকে ঠেলে দিব ঠিক সেই মুহুর্তে ভবিষ্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। কী মাথায় আসছে না!
খুব সহজ একটা উদাহরণ দেই, আমাকে নিয়ে।
আমি প্রায়ই ভবিষ্যত দেখি।না, অবাক হবার কারণ নেই।তেমন জটিল কিছু না। যখনই কোন পরীক্ষা সামনে আসে, তখনই ভবিষ্যত দেখতে পাই। ধরুণ কাল আমার এক্সাম আছে, আর আজ আমি বুঝতে পেরেছি পড়াশুনা না করলে আমি মার্ক্স কম পাব। তবুও পড়তে পারি না। কারণ আমি ভবিষ্যত দেখে ফেলেছি। এর ফলে আমি বর্তমানকে ঠেলে দিয়েছি অতীতের দিকে। যেখানে আমি হাজারবার না পড়ে এক্সামের আগের রাত কাটিয়েছি। আর সেই অতীতের কালো আধাঁরে ভবিষ্যত নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছে।
ধুর, আজাইরা কথাবার্তা।