আগামী ৪ঠা অক্টোবর রমনাকালী মন্দিরে আয়োজিত গণশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে আওয়ামী ওলামা লীগের দায়ের করা মামলায় শাহবাগ থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে মহানগর হাকীম মারুফ হোসেন।
মামলটি দায়ের করেন আওয়ামী ওলামা লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান চীশতী। মামলায় আসামী করা হয় গণশ্রাদ্ধ আয়োজক কমিটির ৬ সদস্যকে। এরা হলো: ১। ব্রি. জে. (অব) জয়ন্ত সেন (সমন্বয়ক, গণশ্রাদ্ধ ৭১, প্রধান উপদেষ্টা: বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট) ২। সঞ্জীব চৌধুরী (সাংবাদিক, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা) ৩। গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট) ৪। অরুন মজুমদার (যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট) ৫। রিপন দে (দপ্তর সম্পাদক, প্রধান উপদেষ্টা: বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট) এবং ৬। দয়াময় বিশ্বাস দিপু (সাধারণ সম্পাদক রমনা কালী মন্দির)।
মামলার আর্জিতে মাওলানা মজিবুর রহমান চীশতি বলেন: “কথিত গণশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে রমনা কালী মন্দিরে সর্বধর্মীয় গণপ্রার্থনার আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু একজন মুসলমান কখনই কালী মন্দিরে দোয়া বা প্রার্থনার উদ্দেশ্যে যেতে পারে না। এছাড়া আসামীরা পত্রিকায় বিজ্ঞাপনে হিন্দুদের শহীদ বলে উল্লেখ করেছে। কিন্তু শহীদ শব্দটি শুধুমাত্র মুসলমান ঈমানদারদের জন্য প্রযোজ্য, হিন্দু ধর্মালম্বীরা এই শব্দ ব্যবহার করতে পারে না, তাদের ধর্মেরও বিষয়টি নেই। এখানে এই পবিত্র শব্দটির উদ্দেশ্যমূলক বিকৃতি ঘটানো হয়েছে।
তাদের এই সকল বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, যার কারণে কথিত গণশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে দাঙ্গা হাঙ্গামা হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, যা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই অনুষ্ঠানটি বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে মাননীয় আদালতের কাছে বাদী আর্জি জানায়। দীর্ঘ শুনানি শেষে মহানগরণ হাকীম মারুফ হোসেন শাহবাগ থানাকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। বাদীর পক্ষে শুনানি করেন, এ্যাডভোকেট এটিএম গোলাম গাউস এবং এ্যাডভোকেট শেখর আহমেদ। মামলা নং: ১৬৬/২০১৩।