somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংক্ষিপ্ত আকারে কথিত হেফাজতে ইসলাম নামক ওহাবী-দেওবন্দী পরিচিতিঃ

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আরবের উয়াইনা অঞ্চলে নজদ নামক স্হানে তামীম গোত্রের একটি শাখা বনু সিনান বংশে ওহাবী মতবাদের প্রবক্তা ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী জন্মগ্রহণ করে। সে যে ভ্রান্ত মতবাদের দ্বার উন্মোচন করেছিল, সেটিই ওহবী আন্দোলন নামে অভিহিত এবং এই মতবাদের সমর্থকগণ ওহাবী সম্প্রদায় নামে পরিচিত।

বিশ্বব্যাপী আজ এই ওহাবী ফেরকার জঘন্য ফিৎনার নেটওয়ার্ক এমন কৌশলে এগুচ্ছে যে, অসংখ্য সরলপ্রাণ মুসলমান না বুজে তাদের ভ্রান্ত মতবাদ গ্রহণ করে ভ্রান্ত পথে এগিয়ে চলছে। তাই এই ফিৎনা সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে ।

সকল সুন্নি মুসলমানগণকে জানানো যাচ্ছে যে,

কথিত হেফাজতে ইসলাম নামক ওহাবী-দেওবন্দী প্রতিষ্ঠাতা

(১) মৌঃ কাসেম নানাতুভী স্বীয় চটি কিতাব তাহজিরুন্নাছের ৩-১৪ ও ২৮ পৃষ্টায় আমাদের নবীয়ে দোজাহাঁকে আখেরী নবী অস্বীকার করেছে। (নাউজুবিল্লাহ)
ওহাবীদের বড় নেতা-
(২) মৌঃ রশিদ আহমদ গংগাহী ও
(৩) মৌঃ খলিল আহমদ আম্বেটবী, বারাহেনে কাতেয়ার ৫১ পৃষ্টায় “নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এলেমকে শয়তান ও মালাউনের এলেমের চেয়েও কম নির্ধারণ করেছে। (নাউজুবিল্লাহ)

ওহাবীদের প্রধান মুবাল্লেগ

(৪) আশরাফ আলী থানবী- হেফজুল ঈমানের ৮ পৃষ্টায় হুজুরে পুর নুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এলমে গায়েবকে সর্বসাধারণ নাবালেগ শিশু পাগল ও চর্তুষ্পদ জন্তুদের সহিত তুলনা করেছে। (নাউজুবিল্লাহ)

সকল মুসলমানদের নিকটে এসব কুফরী নয় কি ??? অল্প সংখ্যক কথিত হেফাজতে ইসলাম নামক ওহাবি দেওবন্দীদের কুফরী আক্বিদা পেশ করলাম ।

এজন্যই কথিত হেফাজতে ইসলাম নামক ওহাবী-দেওবন্দীগণের এই প্রধান ৪ (চার) নেতাকে ইসলামী শরীয়ার দৃষ্টিতে কাফের ও মুরতাদ হয়ে গিয়েছে ? এক কাফের আরেক কাফের কে সাহায্য করবে না তে কি করবে ? এই জন্য বলা হয় হেফাজতে ইসলাম নাকি হেফাজতে জামাতে ইসলাম ।

মক্কা মদিনার ফতোয়া- “হোচ্ছামুল হারামাইন” এর ১২ পৃষ্টায় দেখুনঃ-

ওয়া বিল জুমলাতে হায়ু-লায়ে আততাওয়ায়েফু কুল্লুহুম কুফফারুন মুরতাদুনা খারিজুনা ইসলাম বি ইজমায়িল মুছলিমিন মান শাককা ফি কুফরিহি ও আজাবিহি ফাকাদ কাফারা”

(এবং যারা তাদের আক্বিদায় বিশ্বাসী) নিঃসন্দেহে কাফের ও মুরতাদ, ইজমায়ে উম্মতের দৃষ্টিতে এরা ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত যে কেউ তাদের কাফের হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করবে-সেও কাফের হয়ে যাবে।

এরা সকলে অর্থাৎ:- কাসেম নানাতুভী, রশিদ আহমদ গংগহী, খলিল আহমদ, আশরাফ আলী থাননবি।

মক্কা শরীফের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা ছাইয়্যেদ ইছমাইল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) স্বীয় ফতোয়া লিখেছেনঃ-
“আম্মাবাদ ফা-আকুলু ইন্না হায়ু-লায়িল ও রশিদ আহমদ ও মান তাবায়াহু কাখলিল, আম্বেটবী ও আশাররেফেলী থানভী গাইরাহুম লা শুবহাতা ফি কুফরিহিম বিলা মুজালুন লা শুবহাতা ফিমান শাক্কা বাল ফিমানতা ওয়াককাফা ফি কুফরিহিম মুজালুন মিনাল আহওয়ালে”

অর্থাৎ : হামদ ও সালেতের পর বলছি উল্লেখিত দল উপরে প্রশ্নের যাদের আলোচনা করা হয়েছে যথা রশিদ আহমদ গংগহী এবং যারা তাদের অনুসারী যেমন খলিল আহমদ আম্বোটবী ও আশরাফ আলী থানবী গংদের কুফরিতে ও কোন সন্দেহ নেই এমনকি সন্দেহের কোন অবকাশ ও নেই, এবং বরং যারা তাদেরকে কাফের বলতে সন্দেহ করবে, যে কোন অবস্হায় যে কোনভাবে (এদেরকে) কাফের বলা থেকে বিরত থাকবে বরং তাদের কুফুরীতে কোন সন্দেহ নেই। (ফঃহোচ্ছামুল হারামাইন শরীফ- ১৩০ পৃষ্টা)

অখন্ড ভারত বর্ষের ওলামায়ে ইসলামের ঐক্যমতের ফতোয়া আচ্ছাওয়ারিমুল হিন্দিয়ার ৭ নং পৃষ্টায় এ সকল লোকদের অর্থাৎ (কাদিয়ানী, ওহাবী দেওবন্দী) পিছনে নামাজ পড়া, তাদের জানাজা পড়া তাদের সহিত বিবাহ-শাদী করা,তাদের হাতের জবাইকৃত জন্তুর গোশত খাওয়া, তাদের কাছে বসা, কথা বার্তা বলা এবং সকল প্রকার লেনদেন ও আচরণের হুকুম আসলে এরুপ , যেরূপ হুকুম রয়েছে মুরতাদের বেলায়,অর্থাৎ সকল আচরণ লেনদেন ও কথাবার্তা কটিন হারাম ও মস্ত বড় গোনাহ । তাই পরিশেষে বলতে চাই হেফাজতে ইসলাম নামক মুরতাদ দলটি কোন মুমিনের বন্ধু হতে পারে না। আল্লাহ ও রসূলের শক্র ও অবমাননাকারী, সে যেই হোক না কেন তাকে কাফের বলতে এক পা পিছাবো না। আল্লাহ পাক কথিত হেফাজতে ইসলাম নামক কাফেরদে কাছ থেকে সরল মুসলমানদেরকে রক্ষা করুন । আমীন।।
৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×