পাঠ্যবই থেকে যা বাদ দেয়া হয়েছে তার
কয়েকটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।
বাংলা বই থেকে যেসব বিষয় বাদ দেয়া
হয়েছে সেগুলো হচ্ছে : ১. দ্বিতীয় শ্রেণী-
বাদ দেয়া হয়েছে ‘সবাই মিলে করি কাজ’
শিরোনামে মুসলমানদের শেষ নবীর
সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত। ২. তৃতীয় শ্রেণী
থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ‘খলিফা হযরত আবু
বকর’ শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত
জীবনচরিত। ৪. চতুর্থ শ্রেণী থেকে বাদ
দেয়া হয়েছে খলিফা হযরত উমরের
জীবনচরিত। ৫. পঞ্চম শ্রেণী থেকে বাদ
দেয়া হয়েছে ‘বিদায় হজ’ নামক শেষ নবীর
সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত। আরো বাদ দেয়া
হয়েছে কাজী কাদের নওয়াজের লিখিত
‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নামের একটি কবিতা,
যাতে বাদশাহ আলমগীরের মহত্ত্ব বর্ণনা
করা আছে। সেই সাথে শিক্ষক ও ছাত্রের
মধ্যে আদব-কায়দা কেমন হওয়া উচিত,
কবিতায় তার বর্ণনা ছিল। ৬. পঞ্চম শ্রেণী
থেকেই বাদ দেয়া হয়েছে ‘শহীদ তিতুমীর’
নামক একটি জীবনচরিত। এ প্রবন্ধটিতে
মুসলিম নেতা শহীদ তিতুমীরের ব্রিটিশদের
বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের ঘটনা
উল্লেখ ছিল। ৭. ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে বাদ
দেয়া হয়েছে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ লিখিত
‘সততার পুরস্কার’ নামক একটি ধর্মীয়
শিক্ষণীয় ঘটনা। ৮. ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে আরো
বাদ দেয়া হয়েছে মুসলিম দেশ
ভ্রমণকাহিনী ‘নীল নদ আর পিরামিডের
দেশ’। ৯. একইভাবে মুসলিম সাহিত্যিক
কায়কোবাদের লেখা ‘প্রার্থনা’ নামক
কবিতাটিও বাদ দেয়া হয়েছে। ১০. সপ্তম
শ্রেণী থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ‘মরু
ভাস্কর’ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত
জীবনচরিত। ১১. অষ্টম শ্রেণী থেকে আরো
বাদ দেয়া হয়েছে ‘বাবরের মহত্ত্ব’ নামক
কবিতাটি। ১২. বাদ দেয়া হয়েছে বেগম
সুফিয়া কামালের লেখা ‘প্রার্থনা’
কবিতা। ১৩. নবম-দশম শ্রেণীর বই থেকে বাদ
দেয়া হয়েছে মধ্যযুগের বাংলা কবি শাহ্
মোহাম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ নামক
ইসলামভিত্তিক কবিতাটি। ১৪. একইভাবে
বাদ দেয়া হয়েছে কবি আলাওলের
ধর্মভিত্তিক ‘হামদ্’ নামক কবিতাটিও। ১৫.
বাদ দেয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি
আব্দুল হাকিমের লেখা ‘বঙ্গবাণী’
কবিতাটি। ১৬. বাদ দেয়া হয়েছে শিক্ষণীয়
লেখা ‘জীবনের বিনিময়’ কবিতাটি। এটি
ছিল মোগল বাদশাহ বাবর ও তার পুত্র
হুমায়ুনকে নিয়ে লেখা। নবম ও দশম শ্রেণী
থেকে আরো বাদ দেয়া হয়েছে জাতীয়
কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বিখ্যাত
‘উমর ফারুক’ কবিতাটি।
আবার নতুন যা কিছু সংযোজিত হয়েছে তার
মধ্যে রয়েছে : ১. পঞ্চম শ্রেণীতে হুমায়ুন
আজাদের লেখা ‘বই’ নামক একটি কবিতা, যা
মূলত মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআন
বিরোধী। ২. ষষ্ঠ শ্রেণীতে সংযোজিত
হয়েছে ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ নামক কবিতা।
যেখানে রয়েছে হিন্দুদের দেবী দুর্গার
প্রশংসা। ৩. ষষ্ঠ শ্রেণীতে সংযোজিত
হয়েছে ‘লাল গরুটা’ নামের একটি ছোটগল্প।
যা দিয়ে কোটি কোটি মুসলিম
শিক্ষার্থীকে শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে
মায়ের মতো। ৪. ষষ্ঠ শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়েছে হিন্দুদের তীর্থস্থান রাঁচির
ভ্রমণকাহিনী। ৫. সপ্তম শ্রেণীতে
সংযোজিত হয়েছে ‘লালু’ নামের একটি
গল্প। তাতে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা
দেয়া হচ্ছে পাঁঠা বলির নিয়ম-কানুন। ৬. অষ্টম
শ্রেণীতে পড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের অন্যতম
ধর্মগ্রন্থ রামায়ণের সংক্ষিপ্ত রূপ। ৭. নবম ও
দশম শ্রেণীতে প্রবেশ করানো হয়েছে
‘আমার সন্তান’ নামের একটি কবিতা। যাতে
আছে দেবী অন্নপূর্ণার প্রশংসা ও তার
কাছে প্রার্থনা। ৮. পড়ানো হচ্ছে ‘সময়
গেলে সাধন হবে না’ শিরোনামে
বাউলদের যৌনাচারের কাহিনী। ৯. নবম ও
দশম শ্রেণীতে ‘সাঁকোটা দুলছে’
শিরোনামের কবিতাটি সংযোজিত
হয়েছে, যাতে ১৯৪৭ সালের দেশভাগকে
হেয় করা হয়েছে। ১০. নবম ও দশম শ্রেণীতে
সংযোজন করা হয়েছে ...
সূত্র:
http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/
11511
মজার ব্যাপার হচ্ছে....যেগুলা বাদ দেয়া
হয়েছে সেগুলাতে ছিল মানবতা,সততার
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।।।
আর যেগুলো যোগ করা হয়েছে সেগুলো
থাকার কথা হিন্দু ধর্মশিক্ষা বইতে।।।।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যেগুলো হিন্দুদের জানা
দরকার সেগুলো কেন মুসলমান বাচ্ছাদের
জোর করে গেলানো হচ্ছে?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩