; কবি বলিয়াছেন, পৃথিবীতে সব কিছু সহ্য করা যায় কিন্তু ভালবাসার অত্যাচার সহ্য করা যায় না!
কথা সত্য, আমার কাছে তথ্য আছে।
ডাক্তার আমার কোলেস্টোরেল এর মাত্রা বর্ডার লাইনে আছে জানানোর পর থেকে আমার আম্মা 'কোলেস্টোরেল হটাও, জীবন বাঁচাও' আন্দোলন শুরু করছে।
এই আন্দোলনের প্রথম ধাপ শুরু হয় 'রসুন খাও, খাইতে হবে' দাবি আদায়ের মাধ্যমে।
প্রথমে তো এক কোয়া রসুন আস্ত গিলে ফেলার আদেশ ছিল। তবে 'আম্মা! গলায় বাধে!!' বলে আমার নাক, মুখ, চোখ সিটকানোর নমুনা দেখে আম্মা পিছে হটে।
কিন্তু না, আম্মা দমে নাই।
দ্বিতীয় ধাপে চলে, রসুন কুচি কুচি করে কেটে খাওয়ানোর পালা! এ
বারও আম্মা ফেল!
'আম্মা বেপুক গন্ধ!!' বলে খাওয়া দাওয়া ছাড়ার হুমকি দেয়ার পর আম্মা আবার পিছে হটে।
কিন্তু মা জাতিরা অসীম ধৈর্যের অধিকারিনি হয়। তারা এত সহজে পিছু হটে না।
এখন তিনি 'রসুনের আচার' পন্থা অবলম্বন করেন। ইহা কিঞ্চিত সুস্বাদু। তাই আমি এই দাবি মেনে নিয়েছি।
দুখঃখের বিষয়, দাবি এখানেই শেষ নয়!
কাঠবাদাম খাইতে হবে বলে তিনি দ্বিতীয় দফায় দাবি তুলেছেন।
আমি দাবির কাছে পরাজিত, অতএব কাঠবাদাম খাওয়া স্টার্ট।
কিন্তু ঘটনা এখানেও শেষ হয় নাই! এখন গরুর গোস্তের পিছনে আন্দোলন চলছে।
গরুর গোস্ত খাওয়া বিনা জীবনটা জি বাংলা হইয়া যাইবে! এইটা আম্মাকে বোঝানো সম্ভব হচ্ছে না! তিনি 'তালগাছটা আমার' নীতিতে অটুট।
এই অত্যচার মেনে নেয়া যায় না। তবে না মানলে থার্ড ডিগ্রি দেয়ার সম্ভাবনা আছে।
থার্ড ডিগ্রি মানে 'ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল'
জাতি আজ হতাশ। :,( Sigh!!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৭