তোমরা যে বল দিবসও রজনী 'পেইন লাগে' 'পেইন লাগে'! সখি, 'পেইন' কাহারে কয়? সে কি কেবলই যাতনাময়?
'পেইন' এখন একটি আন্তর্জাতিক মানের সামাজিক ব্যাধি। মানুষের মুড়ি মুড়কির মত এখন 'পেইন' লাগে। জাতীয় অধ্যাপকরা চাইলেই এর নাম 'পাতলা পেইন' করে দিতে পারেন। ইউ নেভার নো! কারও নিজের 'পেইন' লাগে আবার কারও কারও অন্যকে পেইন লাগে।
আগে মানুষ বলত আমরা 'বায়ুর' জগতে বাস করি আর এখনকার সাবটাইটেল হল আমরা 'পেইনের' জগতে বাস করি! যেমন,
ট্রাফিক জ্যাম, হিজিবিজি পেইন
এক্সাম, সুপার পেইন
অনন্ত জলিল, দ্য পেইন ইত্যাদি।
সামাজিক, মানসিক, পারিবারিক, ব্যক্তিগত, রুচিসম্মত (ব্যাথা না বইলা 'পেইন' বলাটা সু-রুচি'র পরিচায়ক) জনপ্রিয় এই পেইন এর তিনটি স্টেজ আছে,
স্টেজ ১,
পেইন লাগার এই স্টেজে মানুষের 'ভাল লাগে না/ভাল্লাগে না' সিচুয়েশান হয়। কবি এই সিচুয়েশান নিয়েই বলেছেন,
"ভাল্লাগে না হু;
দিনের হাওয়া হু,
রাতের হাওয়া হু,
হু হু হু"
কবির নাম জানা যায়নি।
স্টেজ ২,
পেইন লাগার এই পর্যায়ে মানুষ ডেসপারেট হয়ে যায়। 'করতেই হইবে' এবং 'পারতেই হইবে' নতুবা 'মরতেই হইবে' ইত্যাদি জাতীয় কসম সম্প্রদায় এই স্টেজের অন্তর্ভুক্ত। জাতি এই স্টেজে নাম না জানা বহু 'ওই চিনছ, আমি কেডা?' সম্প্রদায়ের মানুষজনের সন্ধান পায়। এদের রাগ নাকের ডগায় থাকে বলে, নাক ও ঘাড় কিঞ্চিত বাঁকা দেখায়।
বাট এক্সেপ্টেবল।
স্টেজ ৩,
'সাইলেন্স'........................
অল্প পেইনে কাতর, অধিক পেইনে পাত্থর!
দেখ না কেউ পেইন শেষে নিরবতা, টাইপ।
ভাল্লাগে না বইলা চিৎকার করে করে ক্লান্ত হয়ে এবং কসম খোদার খায়ালামু চিন্তার করার পরে আসলেই কিছু করা থাকে না। তাই মানুষ চুপচাপ র্য়ে যায়।
স্যাড সংগস এভরিহয়ার।
আরও একটা পেইন আছে,
প্যারাসিটামল দুই বেলা জাতীয় পেইন।
চান্দের গাড়ির উপরে বসে জার্নি করলে এই পেইন হয়। আমার পেইন সেই পর্যায়ের। সাইলেন্স এভরিহয়ার। একটা স্যাড ইমো হবে এইখানে!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০