; ইংরেজি সাহিত্যটা আমি ইচ্ছে করে পড়েছি। নইলে অন্য বিষয়গুলোতে পরীক্ষা না দিয়ে শুধু এই বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার কোন মানে ছিল না। এটা ঠিক যে তখন এই বিষয়ের ব্যাপকতা সম্পর্কে এত ধারনা ছিল না! তবুও কেউ যদি আমাকে জিগ্যেস করে এত কিছু বাদ দিয়ে তুমি কেন ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করেছ, তখন আমি উত্তর দেই 'অন্য কোন বিষয়ে চান্স পাইনি তাই পড়েছি!'
উত্তরটা শুনে প্রশ্নকর্তা বেশ খুশি হয়ে যান। কারন আমি যে সেক্টরে কাজ করি সেখানে ইংরেজি সাহিত্যের খুব প্রয়োজন নেই। লোকজন যা পছন্দ করে তা তারা শুনতে পারে বা পারছে কি না এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
যেমন একজন সুন্দর মানুষ। তিনি কিন্তু সর্বদাই এক্সপেক্ট করেন তাকে নিয়ে কেউ না কেউ সুন্দর সুন্দর কথা বলুক। ফ্যাল ফ্যাল করে তার দিকে কেউ তাকিয়ে থাক। তিনি সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে হোক এটা চাইবেনই। কারন তিনি জানেন তিনি সুন্দর। সুন্দর মানুষদের কেমন যেন একটা সুন্দর আত্মাভিমান থাকে। তাকে তাতে আরও সুন্দর লাগে।
আমি আমার সারা জীবনে কখনো ভাবি নাই 'হাউ আই লুক' বরং সব সব সময় ভেবেছি 'হোয়াট আই হ্যাভ লারন্ট'। একটা মানুষ যেমন অনেক কিছু শুনতে চায়, তেমনি আমি শুনতে চেয়েছি কেউ একজন বলুক 'চল তো বৃষ্টিতে আজকে হুড ফেলে ভিজি!' আমি খুব গম্ভির মুখে বলব 'মাথা খারাপ! আমার সাইনাসের ধাঁচ আছে!' সে বলবে, 'ধুর! তোমার সাইনাস সব সময় থাকবে কিন্তু এইরকম বৃষ্টিতে সব সময় ভেজা যাবেনা!'
মধ্যবিত্ত ছেলেদের এর থেকে বেশি কোন আশা থাকে না। তাদের সব থেকে বড় স্বপ্ন হল কেউ একজন তার কপালে হাত রেখে ঘুম থেকে উঠাবে। কেউ একজন জ্বর দেখার ছলে বারবার কপালে হাত দেবে। কেউ একজন বলবে 'ইশ! খুব কষ্ট হচ্ছে বুঝি!'
খুব সকালে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর কারও একজনের মুখ দেখে বারবার উঠতে চাওয়াটা উপরওয়ালা অপরাধ হিসেবে দেখেন কি না তা জানি না, তবে আমার মত মধ্যবিত্ত ছেলেদের সেই কথা কাউকে বলাটাই যেন অপরাধ! তুমি এইরকম সো তোমার পছন্দ করতে হবে 'এই' ক্যাটাগরির! ভিতুর মত তার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না!!
যে মানুষকে আল্লাহ সুন্দর মুখশ্রী দিয়েছেন, গানের ঝংকারের মত হাসি দিয়েছেন তাকে মানুষের মুখ দেখেই সব কথা বুঝে ফেলার ক্ষমতা কেন দেন নি?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯