; হিরো হইতে কি লাগে?
নিজের চেয়ে দুইগুন ওজনের বড় ব্যাটটা নিয়ে যখন মাঠে যেতাম তখন আগ্রহের অভাব ছিল না। পারি বা না পারি উইকেটের সামনে দাড়ানোর সময় কনফিডেন্সের অভাব থাকত না। কিন্তু ঠিক যখন পাড়ার ষণ্ডামার্কা বলারটা বল করতে আসত তখনই আরেকজন 'পারবি না' বলে ব্যাটটা নিয়ে নিত। আমি পারি নাই।
স্কুলের রেজাল্ট কার্ড দেয়ার সময়ের ঘটনা তো আরও ভয়াবহ! সবসময় মনে হত এই বুঝি আমার নাম ডাকবে। কিন্তু আর ডাকেনা! সামনের সব মেধা তালিকা পূরণের পরে দেখতাম আমার নাম! আমজনতা! আমি পারি নাই।
কলেজ জীবনে কেমনে কেমনে যেন সব পেরে গেলাম। কনফিডেন্স লেভেল আরেকটু বাড়ল। কিন্তু বিধিবাম! বিদেশে পড়তে যাব বলে মুখে ফেনা তুলে ফেললেও বাবার কনফিডেন্স লেভেল বাড়াতে পারলাম না। আমি পারি নাই।
এইভাবে ভার্সিটিও গেল। কিন্তু সব জায়গার কম্পিটিশনেই যেন চ্যাম্পিয়নের পরেরজন হয়ে রইলাম। অর্থাৎ আমি পারি কিন্তু পরেরটায়। শর্ত প্রযোজ্য টাইপ। প্রথমটায় না!
হিরো হইতে কি লাগে আমি জানিনা। কিন্তু সাইড হিরো হইতে কি লাগে আমি জানি। ইটস লাইক, আপনি ১০০ মিটার দৌড়াচ্ছেন এবং ফিতা ক্রসের খুব কাছে চলে এসেছেন কিন্তু কোন কারনে আপনার পেছনের জন ধরাম করে আপনাকে ফেলে ফিতা ছিড়ে বের হয়ে গেল! সাইডের জনের কষ্ট কিন্তু কোন অংশেই কম করতে হয় নাই। তার টার্গেটও কিন্তু দ্বিতীয় হওয়া ছিল না। মাগার পারে নাই!!
মজার ব্যাপার হল, এই কারনে কিন্তু সে কখনওই থেমে যায় না। খুব আফসোস করতে করতে বা জীবনের পিন্ডি চটকাইতে চটকাইতে এবং হাই থটের ফিলসফি ঝাড়তে ঝাড়তে আবারও জীবন দৌড়ে যায় এবং যথারীতি আবারও সাইডের জন হয়! এভাবেই চলতে থাকে।
দৌড় থামে না। এই আশায় যে কোনবার যদি খাপে খাপে, ম্য়নার বাপ হয়ে যায়!
কিন্তু সবাই হিরোকে চেনে। সাইডের জন ইতিহাস। বাট সবাই যেটা জানেনা সেটা হল হিরো একসময় না একসময় থেমে যায় মাগার সাইডের জন থামেনা!
আমি সাইডের জন। প্রতিবার কোন কাজে ফেল মারার পর এইটাই মনে হয়, হিরো হইতে কি লাগে!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩