; অতঃপর ছেলেটি গাড়িটার পেছনে দৌড়াইতে লাগিল।
রাস্তার অন্য গাড়িঘোড়া তাহার আর চোখে পড়িল না! তাহার চোখ কেবলই গাড়িতে বসিয়া থাকা তরুণীটির দিকে পড়িয়া রহিল। এই চোখ তাহার চেনা। কিছুদিন পূর্বেও এই চোখে সে আনন্দ দেখিয়াছে, ভালবাসা দেখিয়াছে, নিজের জন্য কান্না দেখিয়াছে। মানুষ সহজেই কাদিতে পারে কিন্তু অন্যকে ভাবিয়া কাদার মত শক্ত কাজ বোধ করি আর নাই।
কিন্তু তাহার আজ এরুপ দৌড় মেয়েটির চোখে পড়িতেছে না। তাহার চোখের ছায়ায় কেবলই অন্য একটি প্রতিচ্ছবি দেখা যাইতেছে। ছায়ার এই মানুষটি মেয়েটি হইতে ইঞ্চি ছয়েক দূরে বসিয়া আছে।
মানুষটিকে ছেলেটি চিনিতে পাড়িল। অদ্ভুত ক্ষমতাবান এই মানুষটিকে সে ফেসবুকে দেখিয়াছে। 'তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে?' বলিয়া ইঞ্চি ইঞ্চি দূরত্ব আনায়নকারী ব্যক্তিটি মেয়েটির বর্তমান স্বামী।
সব কিছু জানিয়াও এমন দৌড়ের কারন আমি বুঝিতে পারিতেছি না, বোধ করি এই অন্তরীক্ষের কেউই জানেন না। তবে ঈশ্বর জানে নিশ্চয়ই। তাহার অজানা কিছুই নেই।
***বিঃদ্রঃ***
উপরের উল্লেখিত ঘটনা ও উহার চরিত্রসমূহ সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবে জীবনের সাথে কেহ মিল খুজিয়া পাইলে তাহা অনাকঙ্খিত। মাঝে মাঝে আমি লিখিবার ভ্রান্ত চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হই। তাহার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৯