৭১ এ ফেসবুক থাকলে দেশটা আর স্বাধীন হইত না!!!
ইয়ে মানে, ক্ষেপবেন না প্লিজ। আই মিন টু সে, আমরা যে হারে ফেসবুকে হাতি ঘোড়া মারি তার একাংশ যদি নিজের ডেভলপমেন্টের পিছনে ব্যয় করতাম তাহলে দিন আসলেই বদলে যেত।
বৈশাখের নিন্দনীয় ঘটনা থেকে উপলব্ধি করলাম যে এই কয়েক বছরে আমাদের যা বেড়েছে তা হল, ডুয়েল স্ট্যান্ডার্ড! যে মানুষগুলো নারী নির্যাতন নিয়ে আমার হোম পেজে এত সোচ্চার, ঠিক তাদের মধ্যে থেকেই কিছু মানুষ ক্রিকেটে প্লেয়াররা খারাপ খেললে তাদের বউদের দোষ ধরতে উঠে পড়ে লাগে! শুধু তাই না যারা বেশভূষা নিয়ে এত নিউট্রাল, তারা কেন জানি সাকিবের বউয়ের বেশভূষা নিয়ে নেগেটিভিটিতে ভোগেন।
ডব্লিউএইচও এর এক রিপোর্টে বলা হয়, পৃথিবীর ৩৫ ভাগ নারী ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার! ব্যাপারটা আরও সহজ করে বললে প্রতি দশ জনে সাড়ে তিন জন! জি, নিজের বাসায় নির্যাতনের শিকার। আরও সহজ করে বললে আমার আপনার দ্বারা অ্যাসাল্ট এর শিকার! তাই ডুয়েল স্ট্যান্ডার্ড বাদ দিয়ে নিজেদের বদলাই, কাজে দিবে।
যে কোন অ্যাসাল্ট-ই খারাপ। নারী-পুরুষ ভেদাভেদ নাই। এটা বিহেভিয়ার এর একটা প্যাটার্ন। এটা কোন জ্যাকেটের মত না যে আমি আমার নিজের প্রয়োজন মত গায়ে চড়ালাম বা খুললাম। এটা বিহেভিয়ার এর পারমানেন্ট একটা ফিচার।
তাই বাসে প্রথম ৯টা সিটে কে বসবে তা নিয়ে ঝগড়া না করে বেটার যখনই বাসে কোন নারী জাতি উঠে সিট না পাবে তাকে নিজের সিটটা ছেড়ে দেয়া। এটাই কারটেসি। ইউ হ্যাভ টু বুঝতে হবে'র দিন শেষ। এখন ইউ হ্যাভ টু করতে হবে।
ডুয়েল স্ট্যান্ডার্ড টা চেঞ্জ করলে আপাতত মস্ত এক সমাধান পাওয়া যাবে। অন্য কিছু না করলেও চলবে!
বিঃদ্রঃ আমি ছোট, আমাকে মারবেন না।