; স্কুল জীবন আপনার কেমন পচ্ছন্দ? জবাবে খারাপ বলবে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর তবে অসম্ভব নয়। এত্তগুলা ভালবাসার সেই স্কুল জীবন নিয়ে কি কেউ প্রতিদিন স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়? ভালবাসা, ভাল লাগাটা মনের ভেতর চুপটি করে থাকে। কিন্তু পুনর্মিলনী'র সময়? দুনিয়ার ভাল লাগা সব মনে হয় মুখ থেকে বের হয়ে আসতে চায়।
কোন বিশেষ দিন/দিবস/বার্ষিকী আসলে খারাপ না। ভালবাসা বা স্মৃতিগুলো মনে থাকে ঠিকই কিন্তু নিজের ব্যস্ত জীবন থেকে যেন একটা দিন ঠিক করে নেয়া। এই একটা দিনে সব ভাল মন্দ কাজ, যা যা করতে চাওয়ার থাকে, ইচ্ছে হয়, সেই সব করার'ই একটা উপলক্ষ মাত্র। মা দিবস, তেমনই একটা দিন।
আমার বয়স (বলা যাবে না নিষেধ আছে) নিয়ে কেউ যদি কটাক্ষ করে কোন কথা বলে তবে আমার মা, আমি যে এখনও শিশু (বায়ও কি তেয়) তা বোঝানোর জন্যে উঠে পড়ে লাগে। আর গায়ের রং নিয়ে কথা বললে তো শেষ! তিনি উঠে পড়ে বোঝাতে লেগে যান যে আমি ছোট বেলায় দুধে আলতা রঙের ছিলাম (সবাই তো ছোট বেলায় তা ই থাকে!), কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে আমার টই টই করে রোদে ঘোরার পরিমান বেড়ে যায়। আর আমিও রোদে পুড়ে কালো হতে থাকি। এইসব কথা কিন্তু মা আমার সাথে বলে না। তার নিজের ভালবাসা থেকেই আমাকে নিয়ে অন্যের সাথে গল্প করে। এমনও হয়েছে যে আমাকে হয়ত এইমাত্র পড়াশোনা নিয়ে বকা দিল। আবার মিনিট দশেক পড়েই হয়ত সে আমার পড়াশোনা নিয়ে খালার সাথে ফোনে গল্প করা আরম্ভ করল। সেই গল্পে একটু আগের সেই বকাবকি'র ছিটে ফোটাও থাকত না। বরং গর্ব-গর্ব একটা গন্ধ পাওয়া যেত।
নিজের মা'কে ভালবাসার কথা জানাতে দোষের কিছু নেই। মা কে গিয়ে সরাসরি জানান। ফেসবুকে লিখে ভাসিয়ে দেন। অথবা রাস্তায় মাইক নিয়ে বের হয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন। নিয়ত ঠিক রাখলেই হল। কমপক্ষে বছরটা ঘুরলে মনে তো শান্তি পাবেন যে নাহ! একদিন তো মায়ের ভালবাসার কথা শান্তিমত বলেছি।
এটা নিয়ে ত্যানা, গজ, কাপড় কিছুই প্যাঁচানোর নাই। মা-বাবাকে সবাই ভালবাসে। এমন একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা নিজের মা-বাবাকে ভালবাসে না। তাই একদিনই হোক না কেন ভেসে যাক আজ ভালবাসায়, ভেসে যাক ভালবাসার ছবিতে, ভেসে যাক মায়ের প্রতি নিজের ভালবাসাকে নতুন করে আবিস্কার করার আনন্দে।