আওয়ামী লীগের নেতারা আজ প্রকাশ্যে ঘোষনা দিচ্ছে, ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে দেশকে। ১৯৭২ সালের ভয়ংকর দুঃশাষন এর কথা জাতী ভুলে যায় নি। শেখ মুজিবের শাষনকাল কি দুর্ভাগ্যজনক কলংক জাতীর কপালে ল্যাপ্টে দিয়েছে তার কালিমা বাংলার জনগন এখনও ভুলতে পারেনি। অথচ সেই ৭২ সালে সাংবিধানিক ভাবে ফিরিয়ে নেয়া যে কত বড় কলংক তিলক, এই দুর্ভাগা জাতী তা আঁছ করতে পারছে না। একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রকে ৪৩ বছর পেছনে ঠেলে দেয়া যে কত বড় অপরাধ তা আম্লীগের নেতারা বুঝেও না বুঝার ভং ধরেছে।
শেখ মুজিব যত বড় নেতাই হোক না কেন, তিনি শাষক হিসেবে যে একজন ব্যার্থ শাষক ছিল সে কথা সবাই জানেন। তারপরও সেই শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রিয় ভাবে প্রতিষ্টার জন্য একটা পুরো জাতীকে ৪৩ বছর পিছনে ঠেলে দেয়া কি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ- আল্লাই ভাল জানেন।
স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনা এবারে জোর করে ক্ষমতা জবর দখল করার আগে ২০০৭ সালে আরেক অবৈধ সরকারে অধীনে অনুষ্টিত একটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের বিরুদ্ধে এক গভীর যড়যন্ত্রের উৎসবে মেতেছে। বিনিময়ে নিজেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা করার খায়েসে ১৯্৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত শেখ মুজিব যেভাবে হত্যা-খুন-গুমের রাজনীতি আর সংবাদ মাধ্যম স্বাধীনতা হরন ও দেশের সকল ক্ষমতা নিজের হাতে একক কর্তৃত্বে নিয়েছিল, যার পরিনতি শেখ মুজিব কে নিজের জীবন দিয়ে শোধ করতে হয়েছে, ঠিক সেই একই পথে হাঁটছে মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা।
আজ সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ সংসদে উত্তাপন করে আওয়ামী লীগ নেতা দম্ভের সাথে ঘোষনা দিচ্ছে - "এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশ পুরোপুরি ভাবে ১৯৭২ সালে সংবিধানে ফিরে যাবে। সত্যিই শেইম এই জাতীর ভাগ্য। একবিংশ শতাব্দির এই প্রযুক্তিময় বিশ্বে বাস করেও একটা দেশকে, একটা জাতীকে ৪২ বছর পিছনে ঠেলে দেয়ার কলংক না আর কত যুগ যুগ ধরে বয়ে বেড়াতে হয় !
এতদিন জাতী শুধু আঁছ করত, এই অবৈধ সরকার দেশকে পিছনে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ আজ আওয়ামী লীগের নেতারাই প্রকাশ্যে ঘোষনা দিচ্ছে দম্ভভরে, তারা এই দেশকে ৪২ বছর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ! অর্থাৎ প্রকাশ্য ঘোষনা দিয়ে শেখ হাসিনা ও তার জারজগুলা ঠিক তাই তাই করছে যা যা করেছিল আজ থেকে ৪২ বছর আগে শেখ মুজিব ও তার দোসররা।
মনে বড় ভয় হয়, শেখ মুজিবকে তার কু-কৃত্তির দায় শোধ করতে হয়েছিল- গোটা পরিবার সহ জীবন দিয়, সেই একই পথের পথিক শেখ হাসিনা'র জন্যও সেই একই পরিনতি অপেক্ষা করছে? ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতা হলো, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহন করে না। কিন্তু ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না, প্রত্যেককে তার প্রাপ্য সঠিক ভাবে পৌঁছিয়ে দেয়।