মিডিয়া ক্যু বা তথ্য সন্ত্রাস !
ইসলামের জন্য মুসলীমদের জন্য চরম ক্ষতিকর এই জঘন্য অপকর্মটি প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে বিশ্বের তাবত মিডিয়া। এই মিডিয়া ক্যু বা তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরপেক্ষতার ধ্বব্জধারী সুচিল মিডিয়াগুলো খুবই কৌশলে সুক্ষভাবে বিশ্ব মননে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দিচ্ছে ইসলাম-মুসলীম-কোরআন ও রাসুল (সাঃ) এর বিরুদ্ধে বিষভাষ্প।
ইরাকে আইএস-এর সেনাবাহীনি যখন ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল একটা অংশ উক্ত এলাকার জনগনকে সাথে নিয়ে দখল করে ইসলামি সম্রাজ্য প্রতিষ্টার ঘোষনা দিয়েছে তখন ইরাকের আইএস সেনাবাহীনিকে বলা হচ্ছে জঙ্গিগোষ্টি। চরমপন্থি সন্ত্রাসী সংঘটন আখ্যা দিয়ে বিশ্ব বিবেককে বিব্রতকর তথ্য প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দিচ্ছে ইসলামী জিহাদী ও স্বাধীনতাকামী সকল সংঘট ও মোজাহিদ বা যোদ্ধাদের।
এই মিডিয়া সন্ত্রাসের কারনে আজ ৬৫ বছর ধরে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা বিচ্ছিন্নতাবাধী। অন্যদিকে পূর্ব তিমুর ও সাউথ সুদানের খৃষ্টানরা ২ বছরের মধ্যে স্বাধীনতা নিয়ে নেয় নিজেদের স্বাধীনচেতা জাতীর তকমা গায়ে মেখে।
স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ ৬৬ বছরের বেশী সময় ধরে জীবন ও সম্পদ হারানো ফিলিস্তিনিরা এই মিডিয়া ক্যু'র কারনে এখনো জঙ্গী, হামাসের মতো দেশ প্রেমিক সংঘন হয় সন্ত্রাসী সংঘটন। অন্যদিকে দখলদার ইজরালী ইহুদী সন্ত্রাসীরা পায় আত্ম রক্ষার অধিকার।
আফগানিস্তানের বীর মুজাহিদ (যোদ্ধা) তালেবানরা ক্ষমতাচ্যুত হয় বর্হিবিশ্বের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে। ইরাক স্বাধীনতা হারায় তাদের তেল সম্পদ বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে বিনা দ্ধীধায় তুলে দিতে অস্বিকার করায়। আফ্রিকার সবচাইতে সম্পদশালী ও উন্নত দেশ লিবিয়া, নিজেদের ও আফ্রিকা মহাদেশের স্বাধীন স্বকিয়তার প্রশ্নে আপসহীন থাকায় জীবন দিয়ে দাম শোধ করতে হয় মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে।
মিডিয়া সন্ত্রাসের ভয়াবহতার কাছে নতি স্বীকার করে মিসরের গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসি আজ কারাগারে। মুসলীম ব্রাদারহুডের হাজার হাজার কর্মি ও সমর্থক আজ ফাঁসির কাষ্ঠে দন্ডয়মান।
চরম জঙ্গী ও হিন্দু মৌলবাদি সন্ত্রাসী সংঘটন আরএস-শিবশেনা'র অংগ সংঘটন বিজেপি বিশ্বের সবচাইতে বড় গনতান্ত্রিক দেশ ভারতের রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায়। গুজরাটের কসাই মোদি সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী। অথচ মিসরে বাদ্রারহুড, ফিলিস্তিনে হামাস বিশ্বের ইতিহাসে সর্বোচ্ছ ব্যবধানে জয় নিয়ে ক্ষমতায় এলেও টেনে হিঁছড়ে তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয় জনগনের দ্ধারা-জনগনের জন্য- জনগনের সরকারগুলোকে।
খৃষ্টান অাধ্যুষিত এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নেয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইএস যোদ্ধাদের উপর বিমান হামলা শুরু করে খৃষ্টান আমেরিকা। দীর্ঘ ৫৫ দিন ধরে রক্তের হুলিতে মত্ত ইহুদীরা ফিলিলিস্তিনে মুসলীম নারী-শিশু-বৃদ্ধদের উপর নির্বিচার হত্যা যজ্ঞ চালিয়ে ৩০০০ এর বেশি মানুষ হত্যা করে দখলদার ইহুদী চরমপন্থি সন্ত্রাসী জঙ্গি রাষ্ট্র ইজরাইল। ইহুদী মৌলবাদীরা সংসদে দাঁডিয়ে ঘোষনা দেয়, ফিলিস্তিনের বংশবৃদ্ধি রোধ করার জন্য সব ফিলিস্তিনি মায়েদের হত্যা করা উচিত !
মিডিয়া ক্যু আর তথ্য সন্ত্রানের বলী হয়ে মুসলীরা আজ প্রতি পদে পদে নিশ্পেষিত। নরওয়েতে এক খৃষ্টান মৌলবাদি জঙ্গী ইউরোপকে মুসলীম ও অভিবাসি মুক্ত করার খায়েসে সমুদ্রেতীরে অবকাশরত ২০০ মানুষকে গুলি করে হত্যা করেও মিডিয়ার নজর এড়িয়ে যায়। রুশ কমিনিষ্টরা চরদখলের মতো দেশ দখল করেও পার পেয়ে যায়। বিশ্বের মোড়ল আমেরিকা, মানবাধীকারে ধ্বব্জাধারী আমেরিকা বিশ্বব্যাপি গনতন্ত্র ও শান্তি ফেরি করে শান্তিতে নোবেল জয়ি নিগ্রু ওবামা ঘোষনা দেয়- "আত্নরক্ষার অধিকার ইজরাইলের আছে", বিশ্বব্যাপি যুদ্ধ বিস্তৃত করে বুশ ঘোষনা দেয়- "হয় তোমরা আমাদের পক্ষে নয়তো আমাদের বিপক্ষে" !!
শেইম শেইম মিডিয়া। শেইম আমাদের ভাগ্য।