চিত্র-১
।
এখনো দেড়-দুমাস বাকি ডেলেবারীর।
হঠাৎ ব্যাথায় কাতরাচ্ছে বউ। ডাক্তার
বললো এখনি সিজার না করালে বড়
বিপদ হতে পারে।এত্ত ভালোবাসি বউ
কে,তাই সেই ভালোবাসায় কোন রকম
বিপদের গন্ধ ঢুকাতে চাই না বলেই
রাজী হলাম ডাঃ এর কথায়। কিন্তু মা
এসে বললো,এখনো তো অনেক
বাকি,এরকম একটু আকটু ব্যাথা উঠেই,আর
কয়টা দিন দেখলে হয় না?
কথার মধ্যে কেমন জানি একটা চাপা
আদেশ ছিলো, মা ভক্ত ছেলে তাই
মেনে নিলো।ফলাফল, সঠিক সময়ে
নরমাল ভাবেই ডেলেবারী!
।
চিত্র-২
।
৮হাজার টাকার বিভিন্ন টেস্টের
প্রেসক্রিপশন নিয়ে যখন লোকটা
দশবছরের অভিজ্ঞ ডাঃ এর কাছ থেকে
তার পরিচিত ডাঃ এর কাছে আসলো
তখন এই ডাঃ প্রচন্ড রাগে (একটু ক্ষমতা
ছিলো তো তাই) ঐ ডাঃ কে ফোন
দিয়ে বললো,"আপনি কি মানুষ। এই গরীব
লোকটা কে এত্তগুলি টাকার টেস্ট
দিয়েছেন।আগে ঔষুধ দিয়ে কি
কিছুদিন অবসারবেশনে রাখা যেত না।
এত টাকার পাগল কেন আপনি??"
ঔ ডাঃ বলে,"ডাক্তারীর কি বুঝ তুমি।
আর টাকার কি দরকার,ফ্যামিলি বড়
হলে বুঝবা।"
"বিশ্বাস করে আপনার কাছে
পাঠিয়েছিলাম কিন্তু আপনিও এই
সেবার কাছে কমার্শিয়াল!!"
।
এরকম চিত্র বাংলার ওলিগলিতে
ছাতার মত গজিয়ে উঠা ক্লিনিক/
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অহরহ দেখা
যায়।এসবে আবেগ প্রবন বাঙ্গালী
আমরা এখন অভস্ত্য।
।
পার্শ্ববর্তী মুম্বাই,ব্যাংকক সহ অন্য
দেশে
যখন হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীরা
ডাঃ দের তদারকিতে মোটামোটি
বিরক্ত সেখানে
আমাদের দেশে সারাদিনে ডাঃ এর
দেখা মিলে একবার।
।
কোথায় কে যেন বলেছিলো,রোগীর
চেহারা আর বর্নণা শুনে যদি ডাক্তার
রোগ না ধরতে পারে তাহলে সে
কিসের ডাঃ!
কথা তো সত্যিই।মন চাইলেই সিজার
করতে বলা,একটু পেট ব্যাথা হলেই
এপেন্ডিসাইটের অপারেশন
করা,প্রেস্ক্রিপশন বোঝাই ফালতু
কোম্পানির ঔষুধ লেখা,পাতা বোঝাই
টেস্ট দেওয়া এগুলি কি সত্যিকারের
ডাঃ এর বৈশিষ্ট্য!!!?
ড্রয়ার বোঝাই টাকার লোভ কবে
থামবে আমাদের? সকল কাজকে কি
আমরা শুধুই সেবা মনে করে করতে
পারি না?
_________ http://www.facebook.com/venus.vasper