somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের স্বার্থঃ- এশিয়ান হাইওয়ে এবং জননেত্রীর জুজু'তে ভয় না পাওয়ার কারন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগে এই রোজা রমজানের মাসে কিছু লেখার ইচ্ছে ছিলো না! কিন্তু না লিখে পারলাম না! যাই হোক যেহেতু শুরু করছি তাই এশিয়ান হাইওয়ে এবং জুজু নিয়ে কিছু লেখার
চেষ্টা করলমা আর কি....


আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এশিয়ান হাইওয়ে নিয়ে সংসদে বলেছেন..

"প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ে বাংলাদেশ হয়ে আবার ভারতীয় ভূখণ্ডে যাবে বলে স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ অংশে মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ ঢাকার হাতেই থাকবে।"(ঢাকা, সেপ্টেম্বর ০৯ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

কি এমন আশ্বাসের নমুনা! বাংলাদেশের অংশ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না তো কি জাপানের নিয়ন্ত্রণে থাকবে? অথচ দেশের স্বার্থ নিয়ন্ত্রণের চিন্তা নাই!! জুজু'র ভয় কেন বাংলাদেশ পাবে না? তেমন আচরণ কি ভারত স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত করে নি? যে ভারত তাদের নিরাপত্তার জুজু'র ভয় দেখিয়ে দুই ক্ষুদ্র প্রতিবেশী নেপাল-বাংলাদেশ কে ৪০ কিলোমিটারের ট্রানজিট দেয় নি আজ পর্যন্ত।

যে এশিয়ান হাইওয়ে দিয়ে ইউরোপ আমেরিকার স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে সেই হাইওয়ে দিয়ে পাশের দেশ বার্মা যেতে প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার পথ ফাড়ি দিতে হবে! এমন কি সরাসরি নেপালের সাথে কোন রুট পর্যন্ত নাই! বর্তমান সরকারের প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ে রুট দিয়ে শুধু ভারত-ই সব চেয়ে উপকৃত হবে। যা তাদের দ্বীর্ঘ দিনের দাবী। ট্রানজিট। এই গত কেয়ার টেকার সরকারের সময় পিনাক বাবু জোর গলায় বলেছে.. যত দিন ভারত ট্রানজিট না পায় তত দিন দাবী করে যাবে! অথচ আমাদের শেখ হাসিনায় বলছে এশিয়ান হাইওয়ে হচ্ছে ট্রানজিট হচ্ছে না!! অন্তত হাসিনার উচিত না দেশের মানুষ কে দিন কানা ভাবা। বাংলাদেশ কেন নিজের স্বার্থ না দেখে শুধু মাত্র ভারত নির্ভরতায় থাকবে?? এশিয়ান হাইওয়ের নমুনা পড়ুন এখানে( Click This Link ) সাথে জ্বিন ভাইয়ের মন্তব্য গুলাও পইরেন আরকি।


দেশের স্বার্থ জড়িত এই এশিয়ান হাইওয়ে নিয়ে ব্লগে কেন? কোন লেখা লেখি নাই!! আ.লীগ রাজপথে, মিড়িয়া জগত অন্য ইস্যুতে জটবদ্ধ করে রেখেছে? আরে করবে না কেন? স্বয়ং মন্ত্রী আবুল হোসেন মিথ্যাচার করে যাচ্ছে!! এই খানে...( Click This Link )

আমাদের এই সামু পর্যন্ত পুঁজিবাদের পাচাটা অবাক দের দিয়ে অন্য ইস্যু খাওয়াচ্ছে ধর্ম নিয়ে সুরসুরি দিচ্ছে আর এশিয়ান হাইওয়ে, টিপাইমুখ বাঁধ, তেল গ্যাস চুক্তি,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ডুবিয়ে দিচ্ছে?? অপ বাক উরপে রাসেল (.. ..) কিন্তু টিপাইমুখ বাঁধের ভক্ত। নাস্তিক প্রগতিশীলতার ভাব ধরলে কি হবে সে কিন্তু ল্যামপোষ্টের বিরুদ্ধে বলেছে যা বলার। এই কিছু দিন আগে যে সব ব্লগার তেল গ্যাস চুক্তি নিয়ে এক সাথে প্রতিবাদ করেছে দল মত নির্বিশেষে আজ তারা-ই অন্য আরেক জনের আস্তিক - নাস্তিক ইস্যুতে ডুবে যাচ্ছে!!! আর স্বার্থ পন্হিরা আস্তিক নাস্তিক উভয় দেশ প্রেমিকদের চক্কর খাওয়াচ্ছে/:) বা তারা খাচ্ছে! আস্তিক নাস্তিকের হাইওয়েতে দেশের স্বার্থ উষ্ঠা খাচ্ছে..... আমাদের কবির চৌধুরী অবশ্য এই কিছু দিন আগে বিবৃতি দিয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য!! তাহলে বাবা আদলতের কি প্রয়োজন? আমি ঐ কুলাংগাদের সমর্থন করছি না। শুধু আইনের কথা বলছি। অথচ এই কবির চৌধুরীরা তেল গ্যাস, টিপাইমুখ নিয়ে একটা বিবৃতি ও দেয় নি!! ভাবতে অবাক লাগে তাদের প্রগতি কি শুধু হাসিনার জন্য কাজ করে?

আগে যে সব ব্লগার রাত দিন পোষ্টের পর পোষ্ট দিতো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তারা এখন নিরব:( । অথচ সামু'র স্বনাম ধন্য এক ব্লগার বিডিআর বিদ্রোহের দিন ২৫ তারিখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পোষ্ট দিয়ে ছিলো!! কয়েক জন ব্লগারের অনুরোধে সেই লেখা ৪/৫ দিন স্টিকি ছিলো!!! দেশের তখনকার পরিস্হিতি এবং সামু'র মড়ুদের উপলদ্ধি দেখে শুধু অবাক হই নি! ভেবেছি দুনিয়া সত্যেই নানা পন্হার তেলের জায়গা।
বা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জায়গা। অথচ তখন স্বয়ং শেখ হাসিনা পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়া ভাবছে কি না তা গবেষণা করে দেখা লাগবো!! এখন সেই ব্লগারদের খুজে পাওয়া যায় না:|


যাই হোক যে বিষয়ে বলার জন্য লেখা...

আমাদের বামপন্হিরা টিপাইমুখ বাঁধ, দেশের স্বার্থ বিরুধী তেল গ্যাস চুক্তি নিয়ে সরব, রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এশিয়ান হাইওয়ের নামে করিডোর নিয়ে নিরব!? কেন? কথিত বঙদেশের মধ্য দিয়ে যাইবে এমন কাগুজে আন্তঃ মহাদেশী সড়ক যে সাত রাজ্যের চিপা গলিতে জান্নাতুল রামরাজ্য খুজবে চীন থাইল্যান্ড নেপাল বাদে। তাতে যে বঙদেশের ভবিষৎতের বারোটা বাজবে সে চিন্তাটা কি করা উচিত না বামপন্হিদের? আবার পত্রিকায় সিপিবির বিবৃতি পড়েছিলাম যে তারা এশিয়ান হাইওয়ের ব্যাপারে একমত। কিন্তু হাইওয়েটা যে চিপারাজ্য দিয়া হইতেছে তা মনে হয় তাদের অজানা!! নাকি জেনে বুঝে পুঁজিবাদের স্বার্থ হাসিলে একমত?

আবার শুধু তেল গ্যাস চুক্তি বাদে টিপাইমুখ বাঁধ এবং এশিয়ান হাইওয়ের নামে করিডোর নিয়ে জাতীয়তাবাদী ইসলামীরা শরগোল করছে মিড়িয়াতে দেলওয়ার রাজপথে কেউ নাই!?:| বিএনপির ঈমান এখন শক্ত আছে কি না বুঝতে পারতেছি না তবে "মাটির নিচে তেল গ্যাস রেখে কি লাভ"? এ রকম পুঁজিবাদের সেবা করার হাই হুতাসের পরে ও যে ক্ষমতার কেন্দ্র ধরে রাখা যায় নি! কারনটা কি? এখানে একবার না পারিলে দেখ শতবারের প্রবাদ বাক্যতে ভিজে না পুঁজিবাদের তৃষ্ণা। তাই এক দল না পারিলে শত দলের জন্ম দাও তবু কাল ক্ষেপন করা যাবে না। আ.লীগ নীতিতে অটল থাকলে জনগনো মন পার্টি নামের হাজার খানেক না হোক ১০/১২ দল ক্ষমতার রস খেতে চেষ্টা করিতো।

যে শেখ হাসিনা গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে খোদ ক্লিনটনের সামনে দাঁড়িয়ে ৫০ বছরের রিজার্ভের কথা বলেছে দেশের জ্বালানী নিরাপত্তার জন্য। অথচ সেই শেখ হাসিনা ২০০৯ এ কিভাবে প্রায় ১০ বছরের ব্যবধানে "জ্বালানী নিরাপত্তার" সেই ৫০ বছরী থিউরী খাইয়া পালাই ও:( :( :( তার উপরে চেতনার ব্যাপারী আ.লীগেরা সব ইস্যুতেই নিরব রাজপথে কি ব্লগে!! রাজপথে না হয় হাসিনার ভয় আছে কিন্তু ব্লগে কিসের ভয়? নাকি চাটার অভ্যাসের আর্চুয়াল ভার্চুয়াল বলে কোন সীমানা নাই? হাসিনা কে কি যাদুতে মনমোহনের ভারত দিওয়াওনা মাস্তানা করিলো যে.. আ.লীগের মন্ত্রী এমপি গৃহপালিত গরুমাথার বুদ্ধিজীবিরা পর্যন্ত >

টিপাইমুখ বাঁধের মধ্যে ডিজিটাল উন্নতি খুজে পায়!! কারন ষাটের দশকে নির্মিত ফারাক্কা এনালগ পদ্ধতির ছিলো!

সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের সাথে মিউ মিউ আপোষ রফার দীপা-আলোর ভ্রমন চলে! প্রতিবাদের ভাষা যেন মোদের বন্ধুত্বের জিব কাঁটে। কি যে বলো! কিন্তু বার্মার সাথে আপোষ রফার কোন চেষ্টায় চালানো যাবে না!! ব্লগার ভাইরা কি মনে করেন বাংলাদেশ বার্মার সাথে যুদ্ধ করে সমুদ্রসীমানা আদায় করবো? মিছা কথা শুধু শুধু সুরসুরি দেয়ার জন্য কক্সবাজার বিমান বন্দর কে হাইলাইটস করা হচ্ছে। কারন তাতে এশিয়ান হাইোওয়ের লিংক না জানি সে দিক দিয়ে করা লাগে। আবার আমেরিকা ভারত জোটের দিলে যেন চোট না লাগে! ভারত বার্মার ভালোবাসা গনতন্ত্র আর জান্তার মৈত্রী। হাসিনা মনমোহন মৈত্রী শুধু আসন দেয়ার বিনিময়ে নাজরানা নেয়া। ঐ দিকে আমাদের নৌ পরিবহন মন্ত্রী খুলনায় ঘোষনা দিয়েছে যে সোনাদিয়াই গভীর সমুদ্র বন্দর হলে তাতে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে!! এইটা কি জুজু না? কারণ বার্মা! যার কারণে তিনি মনে করেন খুলনার আকরাম পয়েন্টে করলে ভালো হয়!! নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করা লাগবে না! শুধু ঐ মন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন ভারত গত জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত সীমান্তে কত জন বাংলাদেশী কে হত্যা করেছে আর বার্মা কত জন বাংলাদেশী কে হত্যা করেছে??

শুধু শুধু বার্মার সাথে রেষারেষি করে এই বাংলাদেশের সুদূর প্রসারী কোন লাভ হবে না!! হাঁ লাভ যা হবে তা পুঁজিবাদের নব্য দুই রাক্ষোস আমেরিকা আর ভারতের হবে।
আমেরিকান কোম্পানী বাংলাদেশের তেল গ্যাস নিবে আর ভারত এশিয়ান হাইওয়ের নামে করিডোর, টিপাইমুখ বাঁধ, সহ অন্যান ভারতীয় স্বার্থ আদায় করবে। ফাঁকে বার্মিজ চিপা বাশে বাংলাদেশীরা আস্তিক- নাস্তিক তত্ত্ব খুজবে!! অথচ সেক্যুলারের মুখোশে লুকিয়ে থাকা বর্ণচোরারা ঠিকই ইউরোপ আমেরিকায় আশ্রয় নিবে!


হয়তো কেউ জুজু'র ভয়ে আক্রন্তের কথা বলবেন। ভাইয়েরা দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ের মুলনীতি সিটি টু সিটি বাধ দিয়ে এবং কোন রকমের চেষ্টা না করে কেন আপায় ইউরোপ আমেরিকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে?? চুক্তি করতে কেন তারা মরিয়া? অথচ এখনো পর্যন্ত অনেক দেশ চুক্তি করে নি! তা ছাড়া শেখ হাসিনার সব কিছুর কেন্দ্র বিন্দু যে সংসদ সেই সংসদে কেন কোন আলোচনা হচ্ছে না? এশিয়ান হাইওয়ে নিয়ে?? শুধু হাতে গোনা দশজন স্হায়ী কমিটির এমপির মাধ্যমে শেখ মুজিবের সুপারিশে কি দিন বদল বুঝায় ? নাকি নাকে খত দেয়ার ডিজিটাল যুগ বুঝায়? এমপি শেখ মুজিবের যুক্তি এইখানে( Click This Link ) কোন এক কালে ঐ দেশের বুদ্ধিজীবি মানুষ গুলো এই রকম ছিলো( Click This Link )

সব শেষের শেষে আমার ব্লগের ব্লগার বাউলের পোষ্টে করা জ্বিনের বাদশা ভাইয়ের মন্তব্য দিয়ে শেষ করবার চাই....

জ্বিনের বাদশা ১৭ জুন ২০০৯ ১২:৪৮ অপরাহ্ন 40

আপনার সাথে প্রায় সবসময়েই আমার মত মিলে তবে এই পোস্টে বেশ কিছু দ্বিমত হয়ে গেলো … ভারতবিরোধিতার যে ধুয়া সেটার সাথে একমত, তবে সরকার এরকম বেকুবের মতো সিদ্ধান্ত কেনো নিচ্ছে তা মাথায় ঢুকছেনা

প্রথমতঃ বাংলাদেশ যে তিনটা গেটওয়ে পাইলো তার মধ্যে উত্তর-পশ্চিমে বাংলাবান্ধা, দক্ষিণ পশ্চিমে বেনাপোল — এই দুটা ঠিক আছে, কিন্তু এই দুই পথে বাংলাদেশ ভারত ছাড়া আর কারো সাথে বাণিজ্য করে? অলমোস্ট করেনা। এই পথগুলো দিয়ে যাওয়া যাবে পাকিস্তান, আফগান, ইরান — যেসব জায়গার সাথে ভারতের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য চালানো রাজনৈতিক কারণেই প্রায় অসম্ভব … দুদিন পরপরই যদি আপনার গাড়ী জঙ্গীসন্দেহে আটক হয়, ব্যবসা চলবেনা … কাজেই, এক নেপাল ছাড়া ঐ দুই গেটওয়ে আমাদের বাড়তি কোন সুবিধা দিবেনা …

স্থলপথে আমাদের মূল বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা পূর্বে … থাইল্যান্ড, চীন, মালয়শিয়া, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান … আরো কত!!! … আমাদের একটা ভালো গেটওয়ে দরকার পূর্বে … অথচ আমরা পাচ্ছি “তামাবিল!” এই পথে কোন বাণিজ্য হয় কেউ শুনছে? বলেন? এই তামাবিল দিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্সে যাওয়া ছাড়া আর কোন কাজ আসলে কোনদিন হবে? তামাবিল হয়ে বার্মায় ঢুকতে ভারতের দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চল ক্রস করতে হবে, সেখানে টোল দাও, তারপর বার্মা সীমান্ত থেকে মান্দালয় পর্যন্ত আসতেও খালি পাহাড় আর পাহাড় …দেখা যাবে যে এর চেয়ে জলপথে রেঙ্গুন হয়ে ব্যাংকক যাওয়া বেটার!
যত যাই বলেন, পূর্বদিকে আমাদের মাস্ট দরকার ছিলো দক্ষিণ দিক (মে বি টেকনাফ) হয়ে বার্মায় ঢুকে মান্দালায়ের সাথে যুক্ত হওয়া … এটা নিয়ে বিএনপি সরকার অনেক নেগোসিয়েশন করছে কিন্তু মিয়ানমার রাজী না হওয়াতে তারা সফল না হইলেও দেখা যাচ্ছে (Click This Link) যে ২০০৮ এর অক্টোবরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে মিয়ানমারের আলোচনা অনেকটা পজিটিভ ছিলো। সেই আলোচনার জের ধরে বর্তমান সরকারের মাস্ট উচিত ছিলো টেকনাফ টু মান্দালয় রাস্তাকে যাতে মিয়ানমার এশিয়ান হাইওয়েতে এ্যাপ্রুভ করে সেটা নিয়ে কূটনীতি করা। তারপর সাইন করো। এশিয়ান হাইওয়ের সাইন তো যখন ইচ্ছা করা যায় বলে মনে হচ্ছে। সম্ভবতঃ ৮ টা দেশ বাকী আছে সাইন করার, এরা সবাই সাইন না করলে এই হাইওয়ে কার্যকরও হবেনা।

আমার আপত্তি হলো লক্ষণ ভালো থাকা সত্ত্বেও বার্মার সাথে যথাযথ নেগোসিয়েশন না করে এত তাড়াহুড়োর দরকার কি ছিলো সরকারের? এত তাড়াহুড়ো করাতে কিন্তু ভারতেরও কোন লাভ হবেনা, কারণ এশিয়ান হাইওয়ে এ্যাক্টিভেট হতে এখনও অনেক দেরী, সরকার সময় নিতে পারতো।

এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটা তথ্য হলো মিয়ানমারের সাথে নেগোসিয়েশনে বাংলাদেশের চীনকে দরকার হয়েছিলো।
সেখানেই যে প্রশ্নটা এড়ানো যায়না তা হলো, বর্তমান সরকার কি শুধুই ভারতীয়-অক্ষকে খুশী করার জন্য, মানে দেখানোর জন্য যে আমরা চীনের ব্লক না, তোমাদের ব্লকে আছি, সেজন্যই কি এই দ্রুত পদক্ষেপটি নিলো?



***জ্বিনের বাদশা জুন ১৭th, ২০০৯ ২:৩২ অপরাহ্ন

@আশিক,
এএইচ ৪১ এর ব্যাপারটা বলি … বাংলাদেশের অরিজিনাল প্রস্তাব ছিলো এএইচ৪১ মংলা–ঢাকা–চট্টগ্রাম হয়ে বার্মায় ঢুকবে … সেই রুট বার্মায় মান্দালয়ের সাথে মিলে দক্ষিণে রেঙ্গুন হয়ে থাইল্যান্ডে যাবে … সেটা নিয়ে বাংলাদেশ আর মিয়ানমারের নেগোসিয়েশন চলছিলো, এবং নিচের লিংকে জানা যায় যে মিয়ানমার আর চীন বেশ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলো
Click This Link

কিন্তু এখন সেই এএইচ ৪১ কে মডিফাই করে মংলা থেকে শুরু করিয়ে চিটাগাংয়ে নিয়ে মিয়ানমার সীমান্তে শেষ করে দিয়ে যে প্ল্যানটা প্রপোজ করা হচ্ছে, সেই এএইচ৪১ দিয়ে কি হবে? কিছুই হবেনা? … এই রুটতো পুরোটাই বাংলাদেশের ভেতরে!!!! সেটার আবার এশিয়ান হাইওয়ে হবার দরকার কি? এর উপযোগিতা একটাই, তা হলো বিদেশী যানবাহন শুধু এএইচ ১/২ না, এএইচ৪১ দিয়েও চলতে পারবে, মানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যাতে সরাসরি ভারতীয় গাড়ী মালামাল ডাউনলোড করতে পারে সে ব্যবস্থাটা হলো … অথচ বাংলাদেশ এখানে একটা ভালো ব্যবসা করতে পারতো!!!



ভারতের বন্ধুত্বের নমুনার কিছু এখানে( Click This Link ) এবং ঐখানে দেখতে পারেন জুজুর কারন কত প্রকার ও কি কি( Click This Link )
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৭
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×