কিছু কথা ছিল বাকি
ধুয়াটে আকাশ, শিশিরের নিরবতা
পদ্মার বোয়াল শিকারির মত নির্ঘুম সারারাত
আকাশের ঘুম ভেঙ্গেছে মাত্র
সুর্য্য মামা চা খাবে বলে সমুদ্রে দিচ্ছে তাপ- হাল্কা আঁচে
আমি বরফ জমাট পায়ে অসাড়তা ভাঙ্গি
আজ তোর সাথে আমার অনেক কথা বন্ধু
প্রভাত বেলার পাখিরা যেমন কথার করাস করে, তার চেয়ে বেশি।
সেদিনের মোবাইল ফোনে কথার পূর্নতা পায়নি আমার
কত কথা ছিল বাকি, বলা হয়নি
আক্কেল চ্যালাঞ্জারে কে বেশি এগিয়ে, ঢাকা ভাগ কতটা যৌক্তিক,
উর্মি কি এসএমএস দেয় এখনো, ডাঃ জাকির নায়েকের ধর্ম ও বিজ্ঞান
অথবা কিছু নষ্টালজিক আবদার
ক্যম্পাস কাপানো নাটিকার সেই পাগল মুক্তিযোদ্ধা
গম্ভীরার নাতী চরিত্র, আরেক বার হয়ে যাক,
তুই হেসেই খুন।
এখন যেন আর কোন অভিনয় নয়
এপলোর ডায়লাসিস ওয়ার্ড আর বুকে বয়ে বেড়ানো ক্যথেডার
তোকে নতুন রিয়েলিটি শেখালো, অথচ তুই কত নির্বিকার।
সাদা বক উড়ে যায় দূরে
ঘাশের ডগা চুইয়ে পরে সকালের শিশির
কলমী লতা্র সবুজ বেড়ে যায় মাঠে
আমি ইথার পূর্ন কথা, আর স্মৃতির আকাশ নিয়ে
আসছি তোর কাছে, থাকব কিছুক্ষন।
ঘুম ভাঙ্গানোর বিরক্তি টুকুন ভুলে
একবার হেসে উঠিস, আগের মতন।
আকাশে মেঘ নেই এক ফোটা, জ্যোৎস্নায় ঝলমলে সকাল
প্রতিদিনের মত পাড়ার মুদি দোকানে ঝাড় দিচ্ছে এক কিশোর
শুধু আমার বুকে বয় বোবা দীর্ঘস্বাস, গ্রহন লাগা সময়
পথ চলছি একা
এপার আর পারাপারের দরোজায় দাঁড়িয়ে আছি বহুক্ষন
বন্ধু, কিছু কথা ছিল বাকি।
মীর মফিজুল ইসলাম মানিক, ঢাকা ৩০.১১.২০১১
(সদ্য প্রয়াত বন্ধু কে. এম. ফজলে এলাহী জুয়েলের স্মরনে)