সাবমেরিন এক ধরনের জলজ যান যা পানির নিচে চলে,এটা নতুন করে বলার কিছু নাই! আজ আপনাদের বলব,কি এই সাবমেরিন,কিভাবে চলে?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই সাবমেরিন ই ছিলো আমেরিকার প্রধান অস্ত্র!এই জন্যে মাত্র ২% আমেরিকান নেভী প্রায় ৩০% জাপানীস নেভী ধংস্ব করে যার মধ্যে ৮ টি বিমানবাহী জাহাজ,১ টা যুদ্ধ জাহাজ ও ১১ টি ক্রসার!
উনিশ শতকে সাব-মেরিন প্রথম ডিসাইন করা হয়,এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হতে সাবমেরিন ব্যপকভাবে ব্যবহৃতো হতে শুরু করে! সাধারণত মিলিটারী কাজের জন্যই এটা বেশি ব্যবহার করা হয়! এছাড়া গবেষণার কাজেও এটা ব্যবহৃতো হয়! তবে টুরিস্টদের জন্য ও কিন্তু সাবমেরিনের ব্যবস্থা আছে!
এখন বলব,এটা কিভাবে চলে! সাধারনত জাহাজ যে পারিমাণ পানি অপসারিত করে তার ওজন জাহাজের ওজনের চেয়ে বেশি বলে জাহাজ পানিতে ভাসে!জাহাজের ওজন বাড়ালে এর দ্বারা অপসারিতো পানির ওজন যদি জাহাজের ওজনের চেয়ে কমে যায় তাহোলে জাহাজ ডুবে যাবে! সাবমেরিন ও পানিতে ভাসে!কিন্তু এটাকে ডোবানো ও ভাসানো হয় এই ওজন বাড়ানো ও কমানোর মাধ্যমে! একটা বোতলের ভেতর যখন বাতাস থাকে তখন কিন্তু তা পানিতে ভাসে! এর ভিতর পানি ঢুকালে তা ডুবে যাবে! পানির ভিতর বোতলের ভিতর যদি কোন সিস্টেমে পানি অপসারিতো করে বাতাস ঢুকানো যায় তাহোলে আবার কিন্তু বোতল টা পানিতে ভেসে উঠবে! ঠিক একি ভাবে সাবমেরিনে কিছু ব্যালাস্ট ট্যাঙ্ক থাকে যার ভিতর পানি ও বাতাস ঢুকিয়ে সাবমেরিন ডুবানো ও ভাসানো হয়! এটা তে অনেক উন্নতমানের স্টিল ও টাইটেনিয়াম ব্যবাহার করা হয় যার ফলে সাবমেরিনের ভিতরে চাপের কোনো পরিবর্তন হয়না!
এর ভিতরে পানির ইলেক্ট্রোলাইসিস এর মাধ্যমে অক্সিজেনের সরবরাহ করা হয়! এছাড়া এখানে ক্ষতিকর কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের ব্যবস্থা আছে!বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করা হয় বাষ্পীভবনের মাধ্যমে!
বর্তমানের সাবমেরিন গুলো প্রেয় ৪৩০০ ফুট গভীর প্ররযন্ত যেতে পারে!এগুলো ঘন্টায় ৪৯ থেকে ৫২ মেইল বেগে চলতে পারে! বর্তমানের উল্লেখযোগ্য মিলিটারী সাবমেরিনের মধ্যে রয়েছে-cruise missile, nuclear warhead, ballistic missile submarines যেগুলো অত্যাধুনিক যুদ্ধ সাবমেরিন!
বর্তমানে যেসব দেশে সাবমেরিন আছেঃ•
Britain -
• China
• Germany –
• India
• Russia -
• Soviet Union
• United States
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৫৮