somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিসের জন্য এই স্বাধীনতা? : সামুর পাতায় পাওয়া একটি লিখার উপর মুক্ত আলোচনা

৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অদ্য ৩০ জুন সামুতে পাওয়া কিসের জন্য এই স্বাধীনতা? এর উপরে মন্তব্য লিখতে গিয়ে সেটা একটু বড় হয়ে যাওয়ায় তা উঠিয়ে নিয়ে এসে আরো একটি বৃহত্তর পরিবেশে শেয়ার করার ইচ্ছে থেকে এখানে লিখা হল ।
সামুর পাতার সেই লিখাটি থেকে উদ্ধৃত অংশগুলি বোল্ড করা ও ইনভারটেড কমায় চিহ্নিত ।
লিখাটার প্রথম লাইন এ আছে
"অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা । পেয়েছি সার্বভৌম একটি ভুখন্ড।একটি স্বাধীন দেশ"।
মাঝের কয়েক টি লাইন
"যখন পরাধীন ছিলাম সার্বভৌমত্বের অভাবে,এই পরাধীন জাতির মুক্তির লক্ষে এদেশের স্বাধীনতাকামি মানুষ বুকের রক্ত অকাতরে ঢেলে দিয়েছিল"।
আমরা তো পাকিস্থানিদের থেকে সার্বভৌমত্ব পাওয়ার জন্য ৭১ জঙ্গী হয়েছিলাম
৭১ এ আমরা জঙ্গী না হয়েছিলাম মুক্তি যোদ্ধা । মুক্তি যোদ্ধা যাদেরকে নিয়া আমরা গর্ব করি তাদেরকে জঙ্গি কাতার বন্ধি করে কটাক্ষ করা মোটেও সমীচীন নয় ।
"আমরা কি পেয়েছি অর্থনৈতিক মুক্তি ? না, পাইনি! শুধু যা পেয়েছি তা হল বিশ্ব মানচিত্রের বুকে আলাদা ভাবে দাগাঙ্কিত একটি নতুন মানচিত্র।এর বেশি কিছু নয়।আমাদের মনুষত্বের মুক্তির আকাঙ্খাগুলো এই স্বাধীন দেশেও মুখ থুবরে পরে গুমরে গুমরে কেদেঁ মরছে"
বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ আজ মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে তাকি চোখে পড়েনা । বেংগল টাইগাররা বাংলার পতাকা নিয় সারা দুনিয়া দাবরিয়ে বেরাচ্ছে তা চোখে পরেনা। , এশিয়ান টাইগার হিসাবে দুনিয়ার বুকে হিহ্নিত হয়েছে তা চোখে পড়েনা , মনে হয় ক্রিকেটে দ্বাদশ খেলোয়ার হয়ে থাকটাই ভাল ছিল ( পাকিস্তানী ক্রিকেট টিমে পাকিস্তানের ২৩ বছরে বাংগালীর একমাত্র দ্বাদশ খেলোয়ার ছিলেন বাংলার কৃতি সন্তান রকিবুল) লিখক কি বিশ্বের মানচিত্রে দেশটাকে এমনই দেখতে চেয়েছেন !!! , বিশ্ব ব্যাংকের বুকে পদাঘাত করে নীজের এগিয়ে যাওয়ার হিম্মত যে দেশটা এখন রাখে তাকি চোখে পড়েনা , মাত্র ৫৫ হাজার বর্গমাইল জায়গা নিয়ে ১৭ কোটি মানুষের মুখে তিন বেলা আহার যোগাতে পারছে তাকি চোখে পড়েনা , এত অল্প জায়গা নিয়ে দেশের ১৭ কোটি মানুষকে তিন বেলা নীজের কামাই তথা উৎপাদন থেকে খাওয়ানুর ক্ষমতা বাংলাদেশ ছাড়া বর্তমান বিশ্বের আর কারো যে নেই , এটা কি চোখে পড়েনা । মনুষত্বের মুক্তির জন্য বাংলার সেনাবাহিনীর শান্তি রক্ষিরা নীজের জান কোরবান করে সারা দুনিয়ায় বাংলা সুনাম কুড়াচ্ছে তা কি চোখে পরেনা ।
হা কিছু ব্যার্থতা আছে তবে এরকম ব্যর্থতা সর্বকালে সব দেশে থাকে, যা হওয়া মোটেই কাম্য নয় । এরকম ব্যর্থতা কোন মতেই সমর্থন করিনা । তবে কেও মুল বিষয় স্বাধিনতা পাওয়া নিয়ে বুক চাপরায় না । তারা সকলেই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে মূল বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করেনা । দেশের গর্বিত মুক্তি যোদ্ধাদেরকে জঙ্গি কাতার ভুক্ত করেনা । এর থেকেও কঠীন অবস্থা এ দেশ দেখেছে, দেখেছে এক সাথে ৬৪ জেলায় জঙ্গিদের বোমা, দেখেছে ১০ ট্রাক অস্র , দেখেছে বাঘমারায় বাংলা ভাইএর কান্ড , দেখেছে তখনকার এসপি কিভাবে বাংলা ভাইএর মিছিলকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছে , শুনেছে নিজামীর কথা বাংলা ভাই টাই বলে কিছু নেই সব মিডিয়ার সৃস্টি । কৈ তখন তো কেও প্রাপ্ত স্বাধিনতা নিয়ে কটাক্ষ করে কোন লিখা লিখেনি , কৈ তখন কোথায় ছিল প্রাপ্ত স্বাধিনতা নিয়ে হাহা কার । এখন বলতে গেলে জঙ্গি যখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনের মধ্যে চলে এসেছে তখন শুরু হল স্বাধিনতা নিয়ে বুক চাপরানি । বিশ্বকে ডেকে দেখানো আমরা স্বাধিনতা পেয়ে ভাল নেই , তোমরা ত্বরা করে আস, তোমরা শীঘ্র আমাদেরকে নিয়ে যাও পুর্বের পরাধীনতায় যেখানে আমরা ছিলাম ভাল , ছিল না কোন প্রশ্ন কেন এই স্বাধীনতা? যা সামুর পাতায় লিখাটির শেষ লা্‌ইনে দেখা যায় । হা আক্ষেপ থাকতেই পারে তা স্বাধিনতা নিয়ে নয় , তা হতে পারে বর্তমান অবস্থা নিয়ে যার সাথে স্বাধিনতার কোন সংগাত নেই হতে পারে সরকারের ব্যর্থতা তাবলে সরকার স্বাধীনতার সমার্থক নয় । দেশের মুক্তি পাগণ ১৭ কোটি জনতা যতদিন আছে ততদিন কোন সরকারের পক্ষেই সম্ভব হবেনা দেশের কস্টার্জিত স্বাধিনতাকে বিপন্ন করা । অশুভ যে কোন শক্তির অশুভ যড়যন্ত্রকে উপরিয়ে ফেলার ক্ষমতা এ দেশের জনগন রাখে তার প্রমান অতীতে দিয়েছে , এখনো দিচ্ছে সমানতালে । অনেকের অনেক ধম্ভকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে সচেতন জনতা।
:"এই সরকারেরই প্রধান থেকে শুরু করে চেলা পাতি চেলা সবাই মঞ্চে দাড়িয়ে গলা ফাটিয়ে সমানাধিকারের কথা বলে বলে মুখে ফেনা তুলে চলছে।এ দেশ নাকি সবার,সবার সমান অধিকার ,আর পেছন থেকে হাত নেড়ে জঙ্গীদেরকে উস্কানি দিয়ে বলছে তোদের কাজ তোরা করে যা"।

মনে হয় হৃদয়ে খুবই আপছোছ সরকার কেন পাতানো ফাদে পা দিয়ে পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করছেন্ না , সরকার কেন এত কৌশলী পদক্ষেপ নিচ্ছে , সরকার কেন পাকিদের মত মুরুব্বি মার্কিন বাবাদেরকে ডেকে আনছেনা , দেশটাকে কেন এখনো জাহান্নাম বানাচ্ছেনা ।
শেষের লাইন
"কিসের জন্য এই স্বাধীনতা?"
মোদ্দা কথা হল স্বাধিনতা পেয়েই যত বিপত্তি । তার মানে স্বাধিনতা না চেয়ে , বুকের রক্ত না ঢেলে পরাধীন থাকাটাই ছিল বেশী ভাল । সামুতে পোস্ট করা লিখা থেকে এটাই তো বেরিয়ে আসছে । যত আক্ষেপ স্বাধিনতা পাওয়াটা নিয়েই , না হলে তো ভালই আমরা থাকতাম পরাধিন থেকে তাদের সাথেই যেমন তারা খুব ভাল আছে এখন নীজেরা মারামারি করে নীজ দেশটাকে সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করে !!!!!
তাই স্বাধিনতাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত না করে , স্বাধীনতাকে কটাক্ষ না করে , বরং স্বাধিনতার পরে কি কি হয়েছে কেন হয়েছে , তার কারণ বিশ্লেশন করে তার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এখন করনীয় কি সে বিষয়ে সুস্পষ্ট মতামত দিয়ে লিখলে অনেক ভাল হয় । সামুর পাতার লিখা থেকে এটুকুই বুঝা যাচ্ছে পরাধীন থাকাটাই বেহেতর ছিল, স্বাধীনতা পাওয়াটাই হল বিপত্তি । যাদের কাছে পরাধীন ছিলাম তারা এ লিখা দেখলে খুব আত্ম তৃপ্তি পাবে , সারা দুনিয়াকে দেখাতে পারবে দেখ এরা পরাধীন না থেকে স্বাধিন হয়ে এখন কেমন করে হাহাকার করে বলছে
"কেন এই স্বাধীনতা?
কিসের জন্য এই স্বাধীনতা?"

তারা বলবে এই জন্যতো এদেরকে স্বাধীনতা দিতে চাই নাই !!!!!!

তবে বুঝা যাচ্ছে লিখা লিখির কৌশল টার একটু পরিবর্তন হয়েছে ,

যারা যা বুঝার তারা তা বুঝে নিক ।

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৫
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×