বহু বহু হাদীসে বার বার নারী -পুরুষের নামাজের পার্থক্য বর্ণিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও আলবানী আর লা-মাজহাবীরা তা মানবেন না। নিজেদের আহলে হাদীস দাবী করা সত্ত্বেও এখানে তারা হাদীস মানতে নারাজ !
অথচ তাদের এই পুরাপুরী মনগড়া দাবীর পক্ষে তারা একটি হাদীসও দেখাতে পারেন না, না সহিহ না হাসান না জয়ীফ! একজন সাহাবীর মতও তাদের অনুকুলে নয় ! অথচ বহু সাহাবী স্পষ্ট ভাবে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য বর্ননা করেছেন । আর সাহাবীদের মানতেও তারা নারাজ!
কোন হাদীস, অথবা একজনও সাহাবীর রায় বা ফতোয়া না পেলেও আলবানী আর লা-মাজহাবীদের দাবী: নারী-পুরুষের নামাজ এক!
হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য, হাদীস ১ :
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা: ) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :
মহিলারা যখন নামাজের মধ্যে বসবে তখন এক উরুর সাথে অন্য উরু মিলিয়ে রাখবে, আর যখন সিজদা করবে তখন পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে, কেননা তা সতর ঢাকার জন্য অধিক উপযোগী ।
এরূপ নামাজ আদায়কারী মহিলাদের দেখে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন: হে আমার ফেরেশতারা তোমরা সাক্ষী থাক, আমি তাকে মাফ করে দিলাম।
হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য , হাদীস ২ :
হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর রা: বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন : তুমি যখন হাত উঠাবে তখন কান বরাবর হাত উঠাবে আর মহিলারা বুক বরাবর হাত উঠাবে ।
হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য , হাদীস ৩ :
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজরত মহিলাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাদেরকে বললেন : যখন সেজদা করবে তখন শরীর জমিনের সাথে মিলিয়ে রাখবে । কেননা নামাজের ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষের মত না।
কোরাণ - হাদীস না মেনেও যারা আলবানীকে মানতে চান, দয়া করে তারা কি কোন রেফারেন্স - প্রমান কিছু একটা হাজির করবেন ???????
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯