মেয়েরা নাকি ফালতু বিষয়ে একটু ঝগড়াঝাটি বেশী করে থাকে। তা এর চাক্ষুষ প্রমান আমি বার কয়েকই লাইফে পেয়েছি। একটি পেলাম কয়েকদিন আগেই।
ময়মনসিংহ যাব। বাসে উঠলাম। নিজেরা জায়গা দখল করলাম। হঠাত কি হইল কে জানে চিল্লাচিল্লি শোনা গেল ২ মহিলা কন্ঠের। ভাবলাম এ দৃশ্য মিস করা ঠিক হবে না। এগিয়ে গিয়ে উৎসুক দৃষ্টিতে বসে থাকলাম।
১ম মহিলাঃ আপনে সরেন। জানালার সিট আমার। আপনে বইসেন কেন?
২য় মহিলাঃ জানালার সিট আমার! কাউন্টার থেকে বলে দেয়া হইছে।
১ম মহিলাঃ সিট আপনার হয় ক্যামনে? ঐ সিটের টিকিট তো আমার কাছে।
আমি আবার একটু মাদবরি করলাম। মহিলার টিকিট চেক করে দেখা গেল জানালার সিট টা আসলে ১ম মহিলারই। সম্ভবত ২য় মহিলা জানালার সাইডে সিট দিতে বলেছিলেন কাউন্টারে। কিন্তু টিকিট না থাকায় কাউন্টার থেকে ঐ সিটে বসতে বলা হয়েছে। কিন্তু কে জানত জানালার সিট পাবার জন্য এমন কামড়াকামড়ি লাগবে?
২য় মহিলাঃ আমি জানালা ছাড়া বসতে পারি না। আমার বমি চলে আসবে ১ ঘন্টার ভিতরেই।
১ম মহিলাঃ আপনার তো তাও অনেক সময়। আমি এত সময়ও পাব না। আধা ঘন্টার আগেই বমি চলে আসবে। আপনে আপা তাড়াতাড়ি সরেন।
উনার আপা না সরলেও আমি একটু সড়ে বসলাম। যেভাবে বলল কখন না বমি করে দেয়? আমার তো আবার বমি দেখলেই বমি চলে আসে............
কোনভাবেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না দেখে কাউন্টার ম্যান বীরদর্পে এগিয়ে আসলেন। বললেন, খালারা এত এমন করেন কেন? বোন মনে করে ২ জনে জানালার সিটটা একটু পর পর শেয়ার করে যান না। আর তো সিট নাই!
২ মহিলাই সমস্বরে চিল্লায়া উঠল না আমি পারমু না!!!
কাউন্টার ম্যান তো পুরাই চিপায় পইড়া গেছে। ২ মহিলা উনারে তেনা বানায়া ফেলছে। ঘটনা দেখে আমি মনে মনে হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছি। এই না হইলে মাইয়া মানুষ? সামান্য জানালার সিটের জন্য এই কান্ড।
চিন্তার ঠিক এই মুহূর্তে এক হৃদয়বান( নাকি লুল জানি না) তার জানালার সিট ১ম মহিলার জন্য ছেড়ে দিয়ে ২য় মহিলার পাশে চলে আসলেন। আমি মনে মনে বলি ভালই সুযোগের সতব্যবহার করলা মামা! ঘটনার ফিনিশিং লাইনটা ভাবলাম আমিই টাইনা দেই। মহাবুদ্ধিজীবীর মত বলে ফেললাম, মেয়ে মেয়ে এক সাথে না বসাই ভাল। আমার কমেন্টের মর্মার্থ কেউ বুঝল কিনা জানি না, দেখলাম সবাই মুখ চাপা দিয়ে হাসতেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯