স্বপ্নের দেশ নাকি আমেরিকা। আর আমরা যারা মফস্বলে খাকি তাদের জন্য স্বপ্নের শহর রাজধানী ঢাকা। ওখানে গেলে নাকি গতি একটা হয়ে যায়। মৃতে প্রাণের সঞ্চার হয় (বেকারদের চাকরি জুটে)। তাছাড়া চাকরি দাতারাও যেন কেমন। চাকরি দেওয়ার জন্য বার বার ঢাকা ডেকে নেয়।
যাহোক, আমাকেও ওখানে যেতে হয়। যদিও আমি হাপ বেকার তবুও না যেয়ে তো আর ইপায় নেই। তাই...। তবে রেকর্ড গড়েছি জুনে। পাঁচটি শুক্রবারের পাঁচটিতেই আমার ঢাকা দর্শনের সুযোগ হয়েছে। তারই জের ধরে গত সপ্তাহেও গিয়েছিলাম।
কিন্তুরে ভাই। আর যাবো না!!! নামে ঢাকা, কামেও তাই। তাও আবার পানিতে ঢাকা। আকাশে মেঘ জমলেই হাঁটু পানি। ফোঁটা পড়লে তো কথাই নাই।
তার উপর আছে মড়ার উপর খাড়ার ঘা। সব রাস্তায় আবার গরিবের বাহন রিক্সা চলে না। দুই টাকার লোকালে উঠবো অত বড় গায়ের জোর আমার নেই। দীর্ঘদিন ক্রিজে যারা বহাল তবিয়তে টিকে আছেন তাদের সাথে অজপাড়ার এক খুঁদে খেলোয়াড় টক্কর দিবে- অসম্ভব। অতএব কারওয়ান বাজার টু ধানমণ্ডির ছায়ানট: লাগাও হাঁটা।
------------------------------------------------------
রাজধানীর আরেক বিশেষ আকর্ষণ বসুন্ধরা। আগে জানতাম বসুন্ধরা মানে পৃথিবী। আর এখন মনে হয় বসুন্ধরা মানে "হোয়াট নট"। মনের আনন্দে সব কিছু করে বেড়াবার স্থানের নাম হল বসুন্ধরা সিটি। গেলাম ওখানে।
ও বাবা এখানে তো বিপদ আরো। সুনীলের কেউ কথা রাখেনি'র মত- 'ভিতরে রাস উৎসব আর...' তবুও গেলাম। ভালো হোক মন্দ হোক একবার অন্তত চেখে দেখা ভালো। ভিতরে ঢুকে কো চক্ষুচড়কগাছ। সবার মাঝে কেমন যেন একটা উন্মাতালতা। পারলনা শুধু মফস্বল থেকে যাওয়া সেই ছেলেটি। কিছুক্ষণ বসে থেকে ওদের কে লম্বা চওড়া একখান ছালাম ঠুকে দিয়ে বিদায় নিল।
----------------------------------------------------
তারপর... তারপর আর নাই বললাম। থাক আরেক দিনের জন্য। তবে যে মহত উদ্দেশ্য নিয়ে ওখানে যাওয়া সেটার ফল জানতে আরো ১ সপ্তাহ দেরী করতে হবে। যদি ফলটা মিষ্টি হয় তয় কথা দিলাম মাঝে মাঝে যাওয়া যায়। তবারকের লোভে মিলাদে যাওয়ার মতো আর কি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১০