আমি এসেছি এ বসুধায়
করে দিতে চির ত্রিদাসালয় ।
আমি দূখিনীর চোখের অঞ্জন
বিত্ত পাতকের লোচনের পাষাণ ।
আমি তিমির যামিনীর সুধানিধী
অহোরাত্রের দীপ্তমান দিনপতি ।
আমি স্ফুরনের ঊর্মি
বয়ে দিব বান্ধবে স্বজনে;
আমি কানাইয়ের,উগ্রের,রূঢ়ের
অপযশ করে দিব ইতি ।
আমি শতদলের আশীবিষ
ষটপদের বিষাক্ত বিষ ।
আমি সুমধুর অধিকারী পরভূত
আমি কেকা,আমি অবনীর শান্তির দূত ।
আমি জননীর মুখের অলক
আমি জনকের নেত্রের পলক ।
আমি জগদীশ্বরের অধীন
নৃপতির কৃপান ।
আমি অগ্রণীর অভিপ্রায়
কুয়ের তিলেতিলে ক্ষয় ।
উপ্ত মনে জেগেছে আজ সুপ্ত আশার বীজ
চিরন্তন শোষণের ইতি দেখার জন্য হয়েছি আমি দ্বিজ ।
আমি আজ অদাহ্য বিপ্লবের চৈতালি
আমি বিপ্লবের নায়ক চির বিপ্লবী ।
আমি বিপ্লবী, মানুষের মানসে;
সবাই বলে-“ বিপ্লবী বন্য বুনো সে” ।
কিন্তু আমি চলি সৃষ্টির আবেশে ।
আমার বিচরন এ ধরায়,
সামনে চলি নির্ভয় নিশ্চয় ।
শত বাঁধা-বিপদ আজ আমার পথ রুধবার নয় ।
জয়ী আমি আমার নাই পরাজয়,
কঠোর আমি কঠিন আমার অবয় ।
আমি বিপ্লবী,
আমি স্বাধীনতার মিতালী,
আমি বিপ্লবের নায়ক চির বিপ্লবী ।
আমি যুগে-যুগে পথিকের পথের সাথী,
আমি অন্ধকার রাতে দীপ্তমান আশার বাতি ।
আমি অমর আমিই নিরন্তর,
থাকব আমি সকল কালে,থাকব অনন্তর ।
আমি অত্যয়
চির প্রত্যয় ।
আমি বিপ্লবী
চির অমর
চির সত্য এ জগতময় ।