আত্মহত্যা......
অবশ্যই খারাপ......আমরা বলে থাকি।
কিন্তু আমরা কেউই দেখি না মানুষটা কতো মানসিক যন্ত্রণার শিকার হলে নিজেকে শেষ করে দিতে পারে।
উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে কাউন্সেলিং, মানসিক প্রশান্তি, রিক্রিয়েশন...সব ব্যবস্থা করা থাকে। দুঃখজনক হলেও সত্যি এদেশে সরকারি-বেসরকারি যেখানে যত সুবিধাই থাকুক, এই দরকারি জিনিসটা কোথাও নেই।
মেডিকেলের পড়াশোনা সারা বিশ্বেই একই রকম এবং মারাত্মক কঠিন। একে শিক্ষার্থীরা এটার চাপে অনেকটাই বিপর্যস্ত থাকে, তার ওপর নানান রকম সামাজিক ও ব্যক্তিগত কারণে আরও চাপ এসে পড়ে। এটার ভার যারা সইতে পারে না...তারাই বেছে নেয় অন্য পথ ...
মেডিকেলে আনন্দসহকারে পড়াশোনা হয় এই দিব্যি কেউই দিতে পারবে না। সুতরাং, শিক্ষকদের কি উচিত নয় মেডিকেলকে "প্রেশার কুকার" না বানিয়ে পড়াশোনার তীর্থস্থান বানানো ? শিক্ষার্থীদের কি উচিত নয় পরষ্পরের সাথে আরও সহনশীল আচরণ করা , বিপদে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়া ?
বলে কি লাভ ?
আমরা অন্য দেশকে অসভ্য, হানাদার, দালাল, জানোয়ার ইত্যাদি প্রমাণেই ব্যস্ত থাকি...
নিজেরা দিন দিন ভয়ঙ্কর জন্তু হয়ে যাচ্ছি, সেটা খেয়াল করছি কি ?
**উৎসর্গঃ আরমনি সুলতানা বিউটি , শেষ বর্ষ (খুলনা মেডিকেল কলেজ)
- গত ১৪ অক্টোবর বিকেলে নিজ ক্যাম্পাসের ছাত্রীনিবাসের কক্ষে ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩২