সময়টা ধরো কোন এক সকালে
হাঁটছিলাম একাকী,
বালুতটে, ঝাউবনের ধার ঘেষে,
নোনা জল পায়ে নিয়ে।
সময়টা মনে করো তখন বর্ষণমুখর,
হাঁটছিলাম একাকী।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মাথায় করে, কেঁপে কেঁপে উঠছিল শরীর।
তবু আমি গিয়েছি হেঁটে, সাগর পাড়ে
উদাস মনটাকে করে মুক্ত কোটর।
সময়টা কাটছিলো ভালো, নেহাত মন্দ নয়,
হাঁটছিলাম একাকী।
ওপাশের নীলাম্বুরীতে গোসল শেষে যেন উঁকি দিল সূর্যটা,
সোনালী আভার স্পর্শ মাখা, বালুতটে পড়ে ঝিনুক রাশি রাশি।
সময়টা মনে করো বসন্তের কোন এক প্রথম প্রহরে
হাঁটছিলাম একাকী,
যখন পাতাগুলিতে ধরে আগুন, দালানের ফাঁকে ফাঁকে।
আমি যাইনি দেখতে রক্তকরবী আর কৃষ্ণচূড়া,
ভিড়ে গেলাম শঙ্খচিলেদের মাঝে।
আমি হয়ে চিন্তা, ভাবলেশহীন
হাঁটছিলাম একাকী।
সময়টা হয়তো ছেঁড়ে যাবে আমায়, ভাঁটার মত করে।
তারপরও দেখবো চোখ বন্ধ করে, হাঁটছি গন্তব্যহীন
বর্ষণমুখর বসন্তের অদ্ভুত এর ভোরে,
নোনাজলে ভেজা বালুকাবেলায়।