নীল,
কেমন আছো ? ভাবতেই অবাক লাগছে যে আমি লিখছি। আমার এই ফিকে হয়ে যাওয়া সাদাকালো জীবনেও যে কথা লুকিয়ে থাকতে পাড়ে আমার জানা ছিল না। খুব গুছিয়েও যে লিখতে পারি তাও না। তাও কি সব যে আবোল তাবোল লিখেছি নিজেও জানি না।
জানো, ওইদিন রাতে খেয়ে তারপর খাতা আর পেন্সিল নিয়ে বসলাম। অনেকদিন আঁকা হয় না। তুমি তো জিজ্ঞেস করেছিলে যে আমি মেয়েদের ছবি কেন আঁকি না। মনে হয় আঁকতে পারি না। আজ না হয় একটু আঁকার চেষ্টা করি, কি বল?
হুম, আচ্ছা, আঁকাটা তাহলে শুরু হয়ে গেল। চোখটা খুব যে টানা টানা হবে তা হয়, কিন্তু বড় বড়। যেন মনে হয় চোখ দুইটার মাঝে অনেক অনেক স্বপ্ন জেগে আছে। নাকটা খুব একটা খাড়া না, তবে মোটামুটি। গালগুলিতে হবে আপেলের মত। লজ্জা কিংবা কান্না পেলেই যেন একেবারে টকটকে লাল হয়ে যায়। ঠোঁট দুইটা মনে কর, পাতলা আর গোলাপি। আর চুল, হুম, দীঘল। কোমর ছাড়িয়ে গেছে এইরকম। হঠাৎ লজ্জা পেলে যখন মাথাটা ঝুকে আসবে, তখন হাত না, সেই চুলেই ঢাকা পরে যাবে মুখ।
আঁকা শেষ কিন্তু তারপরও চোখ ফেরাতে পারছিলাম না ছবিটা থেকে। এ আমি কি আঁকলাম!! পেনসিলে আঁকা পরী!! হঠাৎ পেছন থেকে মা বলে উঠলেন, কাকে একেছিস!! ভারী সুন্দর মেয়ে তো!!আচ্ছা, এই মেয়েটাকে মনে হয় তোর ফেসবুকে দেখেছিলাম।
হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেলাম। একি সুন্দর কাউকে আঁকতে গিয়ে তোমাকেই এঁকে ফেললাম!! এত সুন্দর কেন তুমি??