ফেসবুকে'র এক স্ট্যাটাস হঠাৎ নজর কেড়ে নিল। তিথী নামের একজন এটি লিখে শেয়ার করেছেন। তার ভাষায় --- আমার এক বন্ধু সবার কাছে নাস্তিক নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। অথচ সে তার কাছে কিছু জমে থাকা টাকা, যা তার টিউশনির টাকা তা দিয়ে সে সাভার ট্র্যাজেডি অসহায় দুর্গতদের সাহায্য করলো। তাহলে আপনারাই বলুন- একজন নাস্তিক বড়, নাকি এরকম একজনের মন-মানসিকতা বড়? (সংক্ষেপিত করে লিখলাম, তবে মূল কথা ছিল এটাই)
আমি আমার কথাই আসি। সস্তা কিছু আবেগ দিয়ে যদি মানুষকে যাচাই করা হয় তাহলে ইন্ডিয়া'র কট্টর শিখ গোষ্টীর প্রত্যক কে ফাঁসি দিয়ে মেরে ফেলা উচিত। কেণনা তারা সর্বদা মুসলিম দের ধংসে ফন্দি আটে। আসুন বর্তমান সময়ের মিয়ানমারের দিকে তাকাই। কি দেখছেন । আমি বলবো না। আপনি তো জানেন। তাহলে আপনি আবেগ কে বড় বলে দেখাতে চেয়েছেন, তাও ধর্মের চেয়ে, তার মানে এই নয় কি আপনি ধর্ম সম্বন্ধে পুরোটা অবুঝ? চেচনিয়া-বসনিয়া-ইরাক-ফিলিস্তিন ,,,, আর কত চান উদাহরন?
আপনার সেই বন্ধু নিশ্চয়ই কোন না কোন বিতর্কিত কাজ করেছে বা লিখালিখি করেছে। শুনুন একটা কথা স্পষ্ট করে কেউ যদি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে যায়, তাহলে তাকে সে ধর্ম সম্বন্ধে একটা স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। ডঃ জাকির নায়েক কে দেখেছেন অন্য ধর্মের বড় বড় মানুষদের সাথে শৃঙ্খলার সহিত তর্ক করে। আপনার যে বন্ধুটিকে নাস্তিক বলছে সে আসলে নাস্তিক। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়। তাছাড়া বোমাবাজি, চুরি-ডাকাতি আমার জানামতি খারাপ কোন কাজ-ই ইসলাম বা অন্য কোন ধর্ম স্বীকৃতি দেয় না।
একজন ডাকাতের সামনে যদি কোন একজন বৃদ্ধ হোচঁট খেয়ে পরে, তাহলে আমি ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারবো সে ডাকাতটি বৃদ্ধটিকে হাতে ধরে তুলবে। তাই বলে কি আপনি ডাকাত কে একজুন সম্মানিত পেশাদার হিসেবে গন্য করবেন?
সাভার ট্রাজেডি তে এমন ও দেখা গেছে গায়ে মলিন পোশাক , কিন্তু মোবাইলে লোড নিয়ে দাড়িয়ে আছে। ডেকে ডেকে বলেছে কল করুন বিনা পয়সায়। (সবচে ছোট্ট উদাহরন টি দিলাম রে ভাই)। মলিন পোশাকের মানুষ ৩টি আপনার আমার মতো ব্লগে ও লিখতে জানে না। আার আমার মতো মনের দুঃখ নিয়ে কাচা হাতের লিখতে ও জানে না।
আসুন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে, মানুষকে সাহায্য করে নিজের ব্যক্তিত্ব কে ফুটিয়ে তুলি।