নিরানন্দের শ্রীঘরে বন্দী উদাসীন আলো
নিভু নিভু জ্বলছে যেন মায়া হরিণীর চোখ;
যত দীর্ঘতম রাত যত ক্ষুদ্রতম রাত
ঘুরেফিরে আসছে অনুরূপ অশ্মরী আচ্ছাদনে।
মধ্যরাতের নিরুত্তর নীরবতায়
কি যেন এক আসক্তি ভাসে অতীতের
আর এক বোঝা অন্ধকার নিয়ে হেঁটে যায় শ্রান্ত শ্রমিক বুকের ভেতর
নিয়তির শেষ ট্রেনযাত্রা অথচ নকল নকশা ধরে সে হাঁটে ভুল ভূগোলে!
রাজকীয় দিনশেষে শুন্যপথে রয়ে যায় শুধু
অজস্র স্মৃতির মলিন ধুলো
প্রসন্ন সন্ধ্যার জনাকীর্ণ মোহনায় প্রদীপ্ত আমুদে স্রোত
অথচ বেহালার বিলাপের মত অনল্প বিষ প্রোথিত আত্মার আশ্রমে।
উল্লেখযোগ্য একটি দীর্ঘশ্বাস মূলত দুইটি দীর্ঘতম রাতের সমান
এমন অলিখিত অসফল এক সমীকরণের বামপাশে
একটি অস্পষ্ট আয়না রেখে ডুবে যাই নিদ্রাহীন অকূল বিষণ্ণতায়।
হৃদয়েশ্বরীর আয়নায় জোছনারা কেমন আছে?
এমন মর্মভেদী একটি প্রশ্নে ঘোলাটে প্রতিবিম্ব দেখি।
প্রতিশ্রুতি মলিন হলে ভোর হবে না আর
এমন অনুকূল পূর্বলক্ষণে হেসেছিলো সেই মানবীর উর্বশী অধর।
অথচ প্রতি প্রভাতের আগে এখানে নামে দোজখের ওম।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩২