গুমোট অভিমানের মত অন্ধকার হাতড়ে
আমি তিলে তিলে সঞ্চয় করেছিলাম ধুমকেতুর সাহস
খুলে দিয়েছিলাম পৌষের উজাড় আকাশ;
বসন্তের সব প্রেম জড়ো করে গড়েছিলাম
একটি শাশ্বত লিখিত গোলাপ।
সেই গোলাপের প্রগাঢ় লালের সংসর্গে মিশেছিল
আমার চারশত নির্ঘুম রাত;
আর ছিলো চারটি অসীম প্রশান্ত ভেসে আসা নাবিকের প্রথম ঘরে ফেরার উল্লাস।
নিসাড় মহানিশার সব নির্বাক নীরবতা পুঁজি করে
অবিক্ষত ভোর হতে পাখির অবিরোধ সব মূর্ছনা এনে
পুষে রেখেছিলাম নিজস্ব মস্তিষ্কে,
চাঁদের ওপিঠে লিখেছিলাম চিত্তের সব অভিপ্রায়-
সব অনুরক্ত অনুরাগ।
একটি পাহাড় কথা দিয়েছিলো
তোমার সাথে দেখা হলে যদি আমার সঞ্চয়ের ঝর্ণা
ভুলে যায় সব সামষ্টিক সমীকরণ
তাহলে মেঘের সাথে লক্ষ বছরের বিকর্ষণ ভুলে
সে আবার প্রতিধ্বনি তুলবে;
একটি রাত কথা দিয়েছিলো
যদি আড়ষ্টতার ভিড়ে হারিয়ে যাই
তবে সে অনিয়ম করে হলেও জোছনার প্রদীপ জ্বালবে।
অনিরুদ্ধ অপেক্ষার পর
আমি তোমাকে কিছুই বলতে পারিনি।
যখন তুমি বলেছিলে মন ভালো নেই
তখন শাশ্বত গোলাপ, মূর্ছনা, অভিপ্রায় সবকিছুই
পাহাড়ের মত অপূর্ণ হয়ে গেলো;
জোছনার প্রদীপ হেরে গেলো বুকের দাবানলে।
সেদিন তোমাকে কিছুই বলতে পারিনি
বলতে পারিনি অগণ্য অনলের নির্যাস বুকে নিয়ে
আমিও ভালো নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭