প্রত্যেক জন্ম শুভলক্ষণ বলেই
হয়তো কোন এক শুভলক্ষণেই জন্মেছিলাম।
হয়তো তখন পৌষের শীত ছিলো
দুরুদুরু বুকের কাঁপনের মত হিম উত্তরের পাতাগুলি
হয়তো শীতল শিহরণে আমাকে দিয়েছিলো
জীবনের প্রথম বিনিময়ের শর্ত।
সেই থেকেই দিব্যি চলছে জীবন।
আজকাল জীবন নিয়ে ভাবতে গেলেই
নড়বড়ে নিউরনের সাঁকো ঘাত প্রতিঘাতে জখম হয়।
সীসার মত ধুসর অতীতের আহবানে
দুপুরের দোয়েল যখন বিশ্রী বিষণ্ণতার গান গায়
বাতাসে তখন সরল দোলকের মত দোলনের হিসেব,
প্রতি প্রশ্বাসের বিনিময়ে একটি নিশ্বাস পাচ্ছি।
প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসের হিসেব রাখছে গাছ
আর আমি রাখছি প্রতিটি মরুর খাঁ খাঁ অবসাদ।
চব্বিশ বছর এভাবেই চলছে।
আজকাল জীবন নিয়ে যখন ভাবি
নিউরনের নড়বড়ে সাঁকোর বন্ধনগুলি ফসকে যায়।
প্রজাপতির ডানার মত রঙ্গিন বর্ণের স্বপ্নগুলি
অভিমানের শ্যাওলার আবরণে চাপা পড়ে আড়ালে
ধুয়ে ধুয়ে মলিন হয় কোন এক কালো ঢলে।
অথচ এখানে বহুদিন বৃষ্টি নেই
বন্যা নেই
আমাবস্যা নেই;
তবুও জোছনার আড়ি চলছে অবিরাম
আর চলছে চব্বিশ বছরের বিনিময়ের সন্ধি।
জীবন নিয়ে ভাবতে গেলেই এখন
বিগত আর অনাগতের খাতা খুলে বসি।
বেঁচে থাকার একটি সমঝোতা ছাড়া
আর কোন সন্ধিই এখানে সিদ্ধ হয়নি।
জীবন নিয়ে ভাবতে গেলেই দেখি
অনুর্বর বুকের জমিনে পড়ে আছে শুধু
হৃদয়েশ্বরীর বহুদূর চলে যাবার ছাপ।
জীবন নিয়ে ভাবতে গেলেই দেখি
জলহীন মরা নদীর প্রাণহীন ছবি
যে শুধু জীবনের নিয়ম মানতেই সাগরে মিশেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৩৩