বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি বিসিএস শিক্ষা সমিতির
এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে কর্তব্যরত প্রধান প্রত্যবেক্ষককে (সহকারী অধ্যাপক) লাঞ্ছিত করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশ্রাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা। তারা বলেন, যে কোন সময় শিক্ষকরা আবার ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারেন- তাই আগামী ২৩ মার্চের পরীক্ষার আগে ওই ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আগামী ২৬ এপ্রিল সারাদেশের সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা।বেপরোয়া ওই ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও শিক্ষা সচিবের কাছে গতকাল স্মারকলিপিও দিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি প্রফেসর নাসরীন বেগম ও মহাসচিব আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল এইচএসসি ইংরেজি ১মপত্র পরীক্ষা চলাকালীন পিরোজপুরের ভা?ন্ডারিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে প্রধান প্রত্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সদস্য মোনতাজ উদ্দিন। এক পর্যায়ে সেলফোনে কথা বলতে বলতে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশ্রাফুল ইসলাম। এ সময় প্রধান প্রত্যবেক্ষক তার পরিচয় জানতে চাইলে ক্ষেপে যান আশ্রাফুল ইসলাম। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে কিছুক্ষণ বাকবিত-া চলে। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনির হোসেন হাওলাদার ও পুলিশ ডেকে পাঠান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারা প্রকাশ্যে মোনতাজ উদ্দিনকে ম্যাজিস্ট্রেটের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন।শিক্ষকের মাফ চাওয়ার এই ছবি স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে সারাদেশে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।এ বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার সংবাদকে বলেন, 'এ ধরনের ঘটনায় শুধু অফিস ডেকোরামকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখানো হয়নি, সমগ্র শিক্ষক সমাজকে অপমান করা হয়েছে। আমরা এই ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছি। অন্যথায় আগামী ১ মে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির জরুরি সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে, সেখানে ওই বিষয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।'
উৎসঃ দৈনিক সংবাদ।
- See more at: Click This Link