somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের নির্লজ্জ মন্ত্রী-আমলাগুলো পদত্যাদ করবে কবে?

০৬ ই মার্চ, ২০১১ ভোর ৬:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীর যেকোন উন্নত দেশে, এমনকি পাশের দেশ ভারতে পর্যন্ত আমরা দেখি সরকারের মন্ত্রীসভার কোন সদস্য বা আমলার উপরে গুরুতর কোন অভিযোগ উঠার সাথে সাথে তারা পদত্যাগ করে। কিন্তু আমাদের মন্ত্রী-আমলাদের চামড়া এত মোটা যে, অভিযোগ উঠলে তো দূরের কথা, অভিযোগ প্রমানিত হলেও পদত্যাগ তো করেই না, বরং নিজের দোষের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করে। পদত্যাগের এই রীতি বাংলাদেশে কবে শুরু হবে?

চাল-তেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। নাগালের মধ্যে নেই মৌসুমে উৎপাদিত সব্জির দামও। সাধারন মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। কৃষক উৎপাদন করে দাম পায় না, সব টাকা চলে যাচ্ছে মধ্যস্বত্তভোগী মজুদদারদের হাতে। সরকারের বানিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করে যাচ্ছে। প্রতিটা বৈঠকে ঘোষণা দেয়া হয় দাম কমার, কিন্তু উল্টো আরো বেড়ে যায় দাম। সিণ্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হওয়া কিংবা সিণ্ডকেটকে সুযোগ করে দেয়া এই নির্লজ্জ মন্ত্রী নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে পদত্যাগ করা তো দূরের কথা, উল্টো ঘোষণা দেয় বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য নাকি বিশ্বের সব দেশের চেয়ে কম আছে।

সোমালিয়ার জরদস্যুদের হাতে মাসের পর মাস বন্দি হয়ে পড়ে আছে জাহানমনির নাবিকেরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদক্ষেপ বলতে শুধু বিবৃতি দেয়া। জাহানমনির নাবিক এবং তাদের স্বজনদের কান্নায় ভারি হয় বাংলার আকাশ-বাতাশ। নির্বিকার নির্লজ্জ্ব পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

দিনের পর দিন অবনতি হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। নাগরিক নিরাপত্তা বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। ৫০-৬০ জনের শঙ্ঘবদ্ধ একেকটি ডাকাত দল গ্রামের পর ডাকাতি করছে। নির্বিকার পুলিশ। আর ষরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য - দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একদম স্বাভাবিক। অবশেষে নিজ দলের এমপির বাসায় ডাকাতি এবং নেতা খুনের পর তার উপলব্ধি - কিছুটা অবনতি হয়েছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। কিন্তু পদত্যাগ? নৈব নৈব চ! আর আমাদের ষরাষ্ট্র-প্রতিমন্ত্রী? তার কাজ বিবৃতি দেয়া। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন নয়।

লিবিয়ায় চলছে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর যেখানে হাউজ-অব-কমন্সে জবাবদিহি করতে করতে অস্থির যে তার দেশের কতজন নাগরিককে এই পর্যন্ত লিবিয়া থেকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে, কতজন এখনো সেখানে রয়ে গেছে এবং কবে নাগাদ তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হবে, সেখানে আমাদের হস্তি সদৃশ পররাষ্ট্র সচীব সাংবাদিকদের জানান, লিবিয়ায় বাংলাদেশীদের কোন ধরনের সমস্যার খবর তার কাছে নেই। যেনো চোখ বন্ধ করে থাকলেই আর সমস্যা কাছে আসবে না। আজো বধি লিবিয়ায় অবস্থিত বাঙ্গালীদের ফিরিয়ে আনতে তারা কোন পদক্ষেপই নেয় নি। যে কজন বাংলাদেশী এ পর্যন্ত ফিরে এসেছে, তারা এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাহায্যে। এতে সরকারের কৃতিত্ব শূন্য। এখনো পর্যন্ত এই ব্যর্থতার জন্য কেউ দায়িত্ব নেয় নি - পদত্যাগ তো দূরের কথা।

এত বড় কেলেঙ্কারী হয়ে গেলো শেয়ার বাজারে। সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষ তাদের প্রত্যক্ষ মদদে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেল, নিঃস্ব হয়ে গেলো লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। অথচ বিকার নেই কারো মধ্যে। আজোবধি দায়িত্ব নিলো না এসইসি কিংবা ডিএসইর কোন কর্মকর্তা। আমাদের বুড়ো ভাম অর্থমন্ত্রীতো উল্টা তিরষ্কার করলো বিনিয়োগকারীদের। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জানিয়ে দিল, তেত্রিশ লাখ বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে গেলে এদেশের অর্থনীতিতে তার কোন প্রভাব পড়বে না। কাজেই তাদের কিছু আসে যায় না!

সরকারের ব্যর্থ ও অপদার্থ এই সব মন্ত্রী আমলারা কবে থেকে দায়িত্ব নেয়া শিখবে? কিংবা কোন দিনই কি শিখবে? কবে থেকে আমরা দেখতে পাবো সবাই তাদের নিজ নিজ ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করছে? সেই সুদিন এদেশে কি কোন দিন আসবে!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১১ ভোর ৬:৪৮
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×