somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুরআনে বর্নিত কাহিনী। ৪। মূসা (আঃ) এবং বানী ইসরাঈল

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

মূসার (আঃ) এর বৃত্তান্ত তোমার কাছে পৌঁছেছে কি? সে যখন আগুন দেখলো, তখন তার পরিবারবর্গকে বললো, তোমরা এখানে থাকো, আমি আগুন দেখেছি; সম্ভবতঃ আমি তোমাদের জন্যে তা হতে কিছু জ্বলন্ত আঙ্গার আনতে পারবো অথবা ওর নিকট কোন পথ প্রদর্শক পাবো।

অতঃপর সে যখন আগুনের নিকট আসলো তখন আহ্বান করে বলা হলোঃ হে মূসা (আঃ)! আমিই তোমার প্রতিপালক, অতএব তোমার জুতা খুলে ফেল, কারন তুমি পবিত্র তুওয়া উপত্যকায় রয়েছো। এবং আমি তোমাকে মনোনিত করেছি; অতএব যা ওহী প্রেরণ করা হচ্ছে তুমি তা মনোযোগের সাথে শ্রবণ কর।

আমিই আল্লাহ্, আমি ছাড়া কোন মা'বুদ নাই; অতএব আমার ইবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামাজ কায়েম কর। কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী, আমি এটা গোপন রাখতে চাই যাতে প্রত্যেকেই নিজ কর্মানুযায়ী ফল লাভ করতে পারে। সুতরাং যে ব্যক্তি কিয়ামতে বিশ্বাস করে না ও নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে তাতে বিশ্বাস স্থাপনে নিবৃত্ত না করে, নিবৃত্ত হলে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।

(আল্লাহ্ বলেন) হে মূসা (আঃ)! তোমার দক্ষিণ হস্তে ওটা কি? সে বললোঃ এটা আমার লাঠি; আমি এতে ভর দিই এবং এটা দ্বারা আঘাত করে আমি আমার মেষ পালের জন্যে বৃক্ষ পত্র ফেলে থাকি এবং এটা আমার অন্যান্য কাজেও লাগে।

আল্লাহ্ বললেন, হে মূসা (আঃ)! তুমি এটা নিক্ষেপ কর। অতঃপর সে তা নিক্ষেপ করলো, সাথে সাথে তা সাপ হয়ে ছুটতে লাগলো। তিনি বললেন, তুমি একে ধর, ভয় করো না, আমি একে এর পূর্ব রূপে ফিরিয়ে দিবো। এবং তুমি তোমার হাত বগলে রাখো, এটা বের হয়ে আসবে নির্মল উজ্জ্বল হয়ে অপর এক নিদর্শন স্বরূপ। এটা এই জন্যে যে, আমি তোমাকে দেখাবো আমার মহা নিদর্শনগুলোর কিছু। ফির'আউনের নিকট যাও, সে সীমালংঘন করেছে।

মূসা (আঃ) বললো, হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন। এবং আমার কর্ম সহজ করে দিন। আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন। যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। আমার জন্য করে দিন একজন সাহায্যকারী আমার স্বজনবর্গের মধ্য হতে। আমার ভাই হারুনকে (আঃ)। তার দ্বারা আমার শক্তি সুদৃঢ় করুন। এবং তাকে আমার কর্মে অংশী করুন। যাতে আমরা আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে পারি প্রচুর। এবং আপনাকে স্মরণ করতে পারি অধিক। আপনি তো আমাদের সম্যক দ্রষ্টা।

তিনি (আল্লাহ্) বললেন, হে মূসা (আঃ)! তুমি যা চেয়েছো তা তোমাকে দেয়া হলো।

এবং আমি তো তোমার প্রতি আরো একবার অনুগ্রহ করেছিলাম। যখন আমি তোমার মায়ের অন্তরে ইঙ্গিত দ্বারা নির্দেশ দিয়েছিলাম যা ছিল নির্দেশ করবার। এই মর্মে যে, তুমি তাকে সিন্ধুকের মধ্যে রাখো, অতঃপর তা দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও যাতে দরিয়া ওকে তীরে ঠেলে দেয়, ওকে আমার শত্রু ও তার শত্রু নিয়ে যাবে; আমি আমার নিকট হতে তোমার উপর ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম, যাতে তুমি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হও।

যখন তোমার ভগ্নি এসে বললোঃ আমি কি তোমাদেরকে বলে দিবো কে এই শিশুর ভার নেবে? তখন আমি তোমাকে তোমার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিলাম যাতে তার চক্ষু জুড়ায় এবং সে দুঃখ না পায়; এবং তুমি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে; অতঃপর আমি তোমাকে মনোঃপীড়া হতে মুক্তি দিই, আমি তোমাকে বহু পরীক্ষা করেছি। অতঃপর তুমি কয়েক বছর মাদীয়ানবাসীদের মধ্যে ছিলে, হে মূসা (আঃ)! এর পরে তুমি নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হলে।

এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য প্রস্তুত করে নিয়েছি। তুমি ও তোমার ভাই আমার নিদর্শনসমূহসহ যাত্রা শুরু কর এবং আমার স্মরণে শৈথিল্য করো না। তোমরা দু'জন ফিরাউনের নিকট যাও, সে তো সীমালংঘন করেছে। তোমরা তার সাথে নম্র কথা বলবে, হয়ত সে উপদেশ গ্রহণ করবে, অথবা ভয় করবে।

তারা বললোঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আশংকা করি যে, সে আমাদেরকে দ্রুত শাস্তি দিতে উদ্যত হবে অথবা অন্যায় আচরণে সীমালংঘন করবে।

তিনি বললেন, তোমরা ভয় করো না, আমি তো তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি ও আমি দেখি। সুতরাং তোমরা তার নিকট যাও এবং বলঃ অবশ্যই আমরা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসুল, সুতরাং আমাদের সাথে বানী ইসরাইলকে যেতে দাও এবং তাদের কষ্ট দিয়ো না, আমরা তো তোমার নিকট এনেছি তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে নিদর্শন এবং শান্তি তাদের প্রতি যারা সৎ পথের অনুসরণ করে। আমাদের প্রতি অহি প্রেরণ করা হয়েছে যে, শাস্তি তার জন্যে, যে মিথ্যা আরোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।

ফিরআউন বললো, হে মূসা (আঃ)! কে তোমাদের প্রতিপালক?

মূসা (আঃ) বললো, আমাদের প্রতিপালক তিনি যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার যোগ্য আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথ নির্দেশ করেছেন।

ফিরআউন বললো, তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কি?

মূসা (আঃ) বললো, এর জ্ঞান আমার প্রতিপালকের নিকট লিপিবদ্ধ আছে; আমার প্রতিপালক ভুল করেন না এবং বিস্মৃতও হন না।

যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন বিছানা এবং তাতে করে দিয়েছেন তোমাদের চলবার পথ, তিনি আকাশ হতে বারি বর্ষণ করেন এবং তা দ্বারা বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ উৎপন্ন করেন। তোমরা আহার কর ও তোমাদের গবাদি পশু চরাও; অবশ্যই এতে নিদর্শন আছে বিবেক সম্পন্নদের জন্যে। আমি মৃত্তিকা হতে তোমাদের সৃষ্টি করেছি, তাতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিবো এবং তা হতে পুনর্বার বের করবো।

আমি তো তাকে আমার সমস্ত নিদর্শন দেখিয়েছিলাম; কিন্তু সে মিথ্যা আরোপ করেছে ও অমান্য করেছে। সে বললো, হে মূসা (আঃ)! তুমি কি আমাদের নিকট এসেছো তোমার যাদু দ্বারা আমাদেরকে আমাদের দেশ হতে বহিষ্কার করে দেয়ার জন্যে? আমরাও অবশ্যই তোমার নিকট উপস্থিত করবো এর অনুরূপ যাদু, সুতরাং আমাদের ও তোমার মাঝে নির্ধারণ কর এক নির্দিষ্ট সময় ও এক মধ্যবর্তী স্থান, যার ব্যতিক্রম আমরাও করবো না এবং তুমিও করবে না। মূসা (আঃ) বললো, তোমাদের নির্ধারিত সময় উৎসবের দিন এবং যেই দিন পূর্বাহ্ণে জনগণকে সমবেত করা হবে।

অতঃপর ফিরআউন উঠে গেল, এবং পরে তার কৌশলসমূহ একত্রিত করলো এবং তৎপর আসলো।

মূসা (আঃ) তাদেরকে বললো, দুর্ভোগ তোমাদের! তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করো না, করলে তিনি তোমাদেরকে শাস্তি দ্বারা সমূলে ধ্বংস করবেন; যে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে সেই ব্যর্থ হয়েছে।

তারা নিজেদের মধ্যে নিজেদের কথা সম্বন্ধে বিতর্ক করলো এবং তারা গোপনে পরামর্শ করলো। তারা বললো, এই দু'জন অবশ্যই জাদুকর, তারা চায় তাদের জাদু দ্বারা তোমাদেরকে তোমাদের দেশ হতে বহিষ্কৃত করতে এবং তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবন ব্যবস্থার অস্তিত্ব নাশ করতে। অতএব তোমরা তোমাদের যাদু ক্রিয়া সংহত কর, অতঃপর সারিবদ্ধ হয়ে উপস্তিত হও এবং যে আজ জয়ী হবে সেই সফল হবে।

তারা বললো, হে মূসা (আঃ)! হয় তুমি নিক্ষেপ কর অথবা আমরাই নিক্ষেপ করি। মূসা (আঃ) বললো, বরং তোমরাই নিক্ষেপ কর; তাদের যাদুর প্রভাবে অকস্মাৎ মূসার (আঃ) মনে হলো যে, তাদের দড়ি ও লাঠিগুলি ছুটাছুটি করছে।

মূসা (আঃ) তার অন্তরে কিছু ভীতি অনুভব করলো। আমি বললাম, ভয় করো না, তুমিই প্রবল। তোমার ডান হাতে যা আছে তা নিক্ষেপ করো, এটা তারা যা করেছে তা গ্রাস করে ফেলবে, তারা যা করেছে তা তো শুধু জাদুকরের কৌশল; যাদুকর যেখানেই আসুক সফল হবে না।

অতঃপর যাদুকররা সিজদাবনত হলো ও বললো, আমরা হারূন (আঃ) ও মূসার (আঃ) প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনলাম।

ফিরআউন বললোঃ কী, আমি তোমাদের অনুমতি দেয়ার পূর্বেই তোমরা মূসাতে (আঃ) বিশ্বাস স্থাপন করলে! দেখছি সে তো তোমাদের প্রধান, সে তোমাদেরকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে; সুতরাং আমি তো তোমাদের হস্তপদ বিপরীত দিক হতে কর্তন করবোই, আর তোমরা অবশ্যই জানতে পারবে আমাদের মধ্যে কার শাস্তি কঠোরতর ও অধিক স্থায়ী।

তারা বললো, আমাদের নিকট যে স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে তার উপর এবং যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর উপর তোমাকে কিছুতেই আমরা প্রাধান্য দিবো না, সুতরাং তুমি কর যা তুমি করতে চাও, তুমি তো শুধু এই পার্থিব জীবনের উপর কর্তৃত্ব করতে পারো। আমরা আমাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছি যাতে তিনি ক্ষমা করেন আমাদের অপরাধ সমূহ এবং তুমি আমাদেরকে যে যাদু করতে বাধ্য করেছো তা; আর আল্লাহ্ শ্রেষ্ঠ ও স্থায়ী।

যে তার প্রতিপালকের নিকট অপরাধী হয়ে উপস্থিত হবে তার জন্যে তো আছে জাহান্নাম, সেথায় সে মরবেও না, বাঁচবেও না। আর যারা তাঁর নিকট উপস্থিত হবে মু'মিন অবস্থায় সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে আছে উচ্চ মর্যাদা। স্থায়ী জান্নাত যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং এই পুরষ্কার তাদেরই যারা পবিত্র।

আমি অবশ্যই মূসার (আঃ) প্রতি প্রত্যাদেশ করেছিলাম এ মর্মে, আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রজনীযোগে বহির্গত হও এবং তাদের জন্যে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে এক শুষ্ক পথ নির্মান কর; পশ্চাৎ হতে এসে তোমাকে ধরে ফেলা হবে এই আশংকা করো না এবং ভয়ও করো না। অতঃপর ফিরআউন সৈন্য বাহিনীসহ তাদের পশ্চাদ্ধাবন করলো, অতঃপর সমুদ্র তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত করলো। আর ফিরআউন তার সম্প্রদায়কে পথভ্রষ্ট করেছিলো এবং সৎপথ দেখায় নাই।

হে বানী ইসরাঈল! আমি তো তোমাদেরকে তোমাদের শত্রু হতে উদ্ধার করেছিলাম, আমি তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তূর পর্বতের দক্ষিণ পার্শ্বে এবং তোমাদের নিকট মান্না ও সালাওয়া প্রেরণ করেছিলাম। তোমাদেরকে আমি যা দান করেছি তা হতে ভাল ভাল বস্তু আহার কর এবং এই বিষয়ে সীমালংঘন করো না, করলে তোমাদের উপর আমার ক্রোধ অবধারিত এবং যার উপর আমার ক্রোধ অবধারিত সে তো ধ্বংস হয়ে যায়। এবং আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি, যে তওবা করে ও সৎপথে অবিচলিত থাকে।

হে মূসা (আঃ)! তোমার সম্প্রদায়কে পশ্চাতে ফেলে তোমাকে ত্বরা করতে বাধ্য করলো কিসে? সে বললো, এই তো তারা আমার পশ্চাতে এবং হে আমার প্রতিপালক! আমি ত্বরায় আপনার নিকট আসলাম, আপনি সন্তুষ্ট হবেন এই জন্যে। তিনি বললেন, আমি তোমার সম্প্রদায়কে পরীক্ষায় ফেলেছি তোমার চলে আসার পর এবং সামেরী তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে।

অতঃপর মূসা (আঃ) তার সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গেল ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ হয়ে; সে বললো, হে আমার সম্প্রদায়! তোমাদের প্রতিপালক কি তোমাদেরকে এক উত্তম প্রতিশ্রুতি দেন নাই? তবে কি প্রতিশ্রুত কাল তোমাদের নিকট সূদীর্ঘ হয়েছে, না তোমরা চেয়েছো তোমাদের প্রতি আপতিত হোক তোমাদের প্রতিপালকের ক্রোধ, যে কারণে তোমরা আমার প্রতি প্রদত্ত অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে?

তারা বললো, আমরা তোমার প্রতি প্রদত্ত অঙ্গীকার স্বেচ্ছায় ভঙ্গ করি নাই; তবে আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল লোকের অলংকারের বোঝা এবং আমরা তা অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করি, অনুরূপভাবে সামেরীও নিক্ষেপ করে। অতঃপর সে তাদের জন্যে গড়লো এক গো-বৎস, এক আবয়ব, যা হাম্বা রব করতো; তারা বললো, এটা তোমাদের মা'বুদ এবং মূসার (আঃ) মা'বুদ কিন্তু মূসা (আঃ) ভুলে গেছে।

তবে কি তারা ভেবে দেখে না যে, ওটা তাদের কথায় সাড়া দেয় না এবং তাদের কোন ক্ষতি অথবা উপকার করবার ক্ষমতাও রাখে না?

হারূন (আঃ) তাদেরকে পূর্বেই বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! এটা দ্বারা তো শুধু তোমাদেরকে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে; তোমাদের প্রতিপালক দয়াময়, সুতরাং তোমরা আমার অনুসরণ কর এবং আমার আদেশ মেনে চল। তারা বলেছিল, আমাদের নিকট মূসা (আঃ) ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা এর পূজা হতে কিছুতেই বিরত হবো না।

মূসা (আঃ) বললো, হে হারূন (আঃ)! তুমি যখন দেখলে যে, তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে তখন কিসে তোমাকে নিবৃত্ত করলো আমার অনুসরণ হতে? তবে কি তুমি আমার আদেশ অমান্য করলে? হারূন (আঃ) বললো, হে আমার সহোদর! আমার দাড়ি ও কেশ ধরে আকর্ষণ করো না; আমি আশংকা করেছিলাম যে, তুমি বলবেঃ তুমি বানী ইসরাঈলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছো ও আমার বাক্য পালনে যত্নবান হও নাই।

মূসা (আঃ) বললো, হে সামেরী! তোমার ব্যাপার কি? সে বললোঃ আমি দেখেছিলাম যা তারা দেখে নাই; অতঃপর আমি সেই দূতের (জিবরাঈলের) পদচিহ্ন হতে একমুষ্টি (ধূলা) নিয়েছিলাম এবং আমি তা নিক্ষেপ করেছিলাম, আর আমার মন আমার জন্যে শোভন করেছিল এইরূপ করা।

মূসা (আঃ) বললো, দূর হও, তোমার জীবদ্দশায় তোমার জন্যে এটাই রইলো যে, তুমি বলবেঃ আমি অস্পৃশ্য (আমাকে স্পর্শ করবে না) এবং তোমার জন্যে রইলো এক নির্দিষ্ট কাল, তোমার বেলায় যার ব্যতিক্রম হবে না এবং তুমি তোমার সেই মা'বূদের প্রতি লক্ষ্য কর যার পূজায় তুমি রত ছিলে; আমরা ওকে জ্বালিয়ে দিবই, অতঃপর ওকে বিক্ষিপ্ত করে সাগরে নিক্ষেপ করবই। আমাদের মা'বূদ তো শুধুমাত্র আল্লাহই যিনি ছাড়া অন্য কোন (সত্য) মা'বূদ নাই, তাঁর জ্ঞান সর্ববিষয়ে ব্যাপ্ত।

পূর্বে যা ঘটেছে তার সংবাদ আমি এভাবে তোমাদের নিকট বিবৃত করি এবং আমি আমার নিকট হতে তোমাকে দান করেছি উপদেশ। এটা হতে যে বিমুখ হবে সে কেয়ামতের দিনে মহা ভার বহন করবে। তাতে তারা স্থায়ী হবে এবং কিয়ামতের দিন এই বোঝা তাদের জন্যে কত মন্দ!

সূরাঃ ত্বা-হা
আয়াতঃ ৯-১০১
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×