ইতিহাস কাকে বলে দেখেন, আজ ১৪ই জুলাই ২০২৪ইং, বাংলাদেশের একসময়ের স্বৈরাচারী সরকার প্রধান মি এইচএম এরশাদ গত ১৪ই জুলাই ২০১৯ সালের এই দিনে মারা যান, আমি আজ তন্নতন্ন করে দেশের প্রায় অনলাইনের পত্রিকা খুঁজলাম, কোথায়ও কয়েক ইঞ্চির খবর নেই, মাত্র মৃত্যুর ৫ বছর পরেই তার নামটাও কেহ উচ্চারণ করছে না! এমনকি তার দল জাতীয় পার্টিও কোথায় কোন অনুষ্ঠান করছে এখনো চোখে পড়ে নাই! মানে সবাই ভুলে গেছে এই স্বৈরাচারীকে!
(ছবিটা নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেয়া, ১৯৯৭ সালে তিনি যখন জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন)
রেফারেন্স ছবি।
সামান্য কিছু কথা!
- তার আমলেই মুলত সরকারী কর্মচারীরা ব্যাপকভাবে ঘুষ কমিশন খাওয়া শিখেছিল। তার অপরাধ অনেক, প্রকাশ্য গুলি করে মানুষ মারা তার আমলেই শুরু হয়েছিল। ব্যক্তিজীবনে তিনি নারী লিপ্স্যু ছিলেন। প্রত্রিকা গুলো মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল, তবে তার আমলের অনেক কাজ এখনও চলছে, নানান শহরের বড় রাস্তা গুলো বের করা তার আমলেই।
- ব্যক্তি হিসাবে ভদ্র ছিলেন (কিছু চরিত্রে), তবে আমার ধারনা তিনি স্ত্রী ড্রিভেন ছিলেন, তাকে নষ্ট করার পিছনে রওশন ছিলেন এগিয়ে। রওশনের লোভের অনেক কথা শুনেছি ময়মন্সিঙ্ঘে, টাকা হলেই তিনি কাজ বাগিয়ে দিতেন, যদিও প্রমান দেখাতে পারবো না, তবে যাদের কাছে শুনেছি বা যারা দেখেছেন তারা এখনো অনেকেই বেঁচে আছেন! এদিকে প্রযুক্তি যদি এখনকার মত হত, তবে তাকে নামানো সম্ভব হত না বলেই মনে করি। তার আমলে আন্দোলন ভয়াবহ রুপ নিয়েছিল, যা এখন কল্পনাও করা যায় না)
- তবে তার চেয়েও বড় স্বৈরাচার আমরা দেখে ফেলেছি। তবে এখন মানুষ অসহায়, আর কত আন্দোলন করবে, প্রযুক্তির উন্নতি স্বৈরাচারদের পক্ষে এখন।
- মানুষ তার পরবর্তিতে যা আশা করেছিল, তার কিছুই পূর্ন হয় নাই। মুলত ১৯৯১ সালের ইরাক ইরান যুদ্ধ থেমে যাবার পরেই বাংলাদেশের মানুষ টেকনিশিয়ান/লেবার হিসাবে ব্যাপক বিদেশ যাত্রা শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য, এরা সেখানে ধীরে ধীরে বড় বড় কাজে প্রবেশ করতে থাকে, এদের যৌবনের সাথে বাংলাদেশের যৌবন বাড়তে থাকে, অনেকেই দক্ষ হয়ে দেশে ফিরে আসে, নিজ সেক্টরে কাজ করে সাফল্য পায়, দেশে শিল্প কারখানা সেই থেকে শুরু বা বলা চলে খাত চালু হয়, যারা সেখানে এখনো রয়ে গেছে তারা তো এখন অনেক বড় পজিশনে। এদিকে দেশে শুরু হয় গার্মেন্স, নারীরা ব্যাপক কাজ করে এই সেক্টরে, সব মিলিয়ে আজকের অবস্থান। তবে জনগণের জন্য সরকার তেমন কিছু করে নাই, সবাই নিজেরা নিজেরা, যারা বড় হতে চেয়েছে! আর এই গত ১৫/২০ বছরে ঘুষ সুদ কমিশনে ভেতরের চোরেরাও ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। হা হা হা, তবে জাতির মুল উন্নয়ন এখনো কিছুই হয় নাই।