একটা উপদেশ: রুস্তম উত্তেজিত হয় না
যদি বড় বাটপার হতে চাও চোখের লজ্জা খাও। চুরি করতে চাইলে আর যাই করো, অন্যের ভুল ধরো না যেনো। যার মনে যা ফাল যেনো দিয়ে ওঠে না তা। আরো কতো না জানি কি কথা আছে ছুপা রুস্তমদের জন্য। তবু তারা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। বিরুদ্ধে এক লাইন, এক চিতকার শুনলেই হলো। তারা যখন আরো বড় রুস্তম হয়ে উঠবেন তখন তারা আর উত্তেজিত হইবে না, এটা আমি নিশ্চিত।
প্রথমে ভেবেছিলাম একটা বড় লেখা লিখি। যেখানে চেতকার দিয়ে বলা যাবে: ওহে শিক্ষক (শিক+খোক) এমন কিছু হয়ে যাওনি যাতে ধরাকে সরা জ্ঞান করবে তুমি। তারপর দেখলাম খামখা বিষোদগার করে নিজের ফুরফুরে মেজাজটা কাহিল করার কি দরকার? তারচেয়ে শুধু ঘটনার বর্ণনা দিলেইতো হয়। বাকিটা পাঠকও বুঝবেন, আমার কাজটাও হবে। কাজটা মানে হলো নিজেকে নিরস্ত করা।
গণযোগাযোগ বিভাগে চতুর্থবর্ষ শেষ পরীক্ষার দিন (২২অক্টোবর ২০১০)
পরীক্ষার অর্ধেক সময় অতিক্রান্ত
পাহারাদার শিক্ষক: তোমাদের কারো টয়লেটে যাওয়ার দরকার থাকলে যেতে পারো। এরপর আর সুযোগ দেয়া হবে না।
এক শিক্ষার্থী টয়লেটে গেলো, ফিরেও এলো
তারপরপরই শিক্ষক বেরিয়ে গেলেন। দু মিনিটের ভিতর ফেরত এলেন এক চোথা নিয়ে
ছাত্রটির কাছে গিয়ে বললেন: তোমার এডমিট কার্ড আর খাতা দাও
ছাত্র: কেন স্যর?
শিক্ষক: তুমি বাথরুমে গিয়ে নকল পড়ে এসেছো। যে টয়লেটে গিয়েছিলে সেখানে এটা পাওয়া গেছে
(আশেপাশের ছাত্ররা পরীক্ষা দেয়া বন্ধ করে দিয়ে ভাবছে। স্যর এখানে বসে বুঝলো ক্যামনে সে কোন টয়লেটে গিয়েছিলো? পাশাপাশি ৪টা টয়লেট। আর সেই টয়লেটে গেলেই সেই কাগজ যে এই ছেলেই রেখেছে সেটাও বুঝে গেলো স্যর। বাববাহ...স্যারেরা বোধহয় পারে। হাজার হোক স্যর তো)
ছাত্রটিকে অকথ্য ভাষায় বলতে থাকেন কি তার অপরাধ। মুহুর্তে পরিস্কার হয়ে যায়, নকল করেছে এটা তার অপরাধ না, টয়লেটে গিয়েছে সেটাও অপরাধ না, ঠিকঠাক ক্লাস করেনি, রাস্তায় সালাম দেয়নি ওইটাও অপরাধ না। অপরাধ হলো ছাত্রটি সাংবাদিক, শিক্ষকটি প্ররশাসনিক।তারকিছু গুমোর ফাঁসের রিপোর্ট ছাত্রটি করেছে।এটা করা তার অন্যায় হয়েছিলো। শিক্ষকের কাজ ছাত্রদের ''উচিত শিক্ষা'' দেয়া। তাই তিনি উচিত শিক্ষা দিতে উদ্যত হয়েছেন। শিক্ষার ভাষা হলো: শুয়োরের বাচ্চা তুই কতোবড় সাংবাদিক হয়েছিস?? আমাকে নিয়ে রিপোর্ট করে আমার ইমেজ নস্ট করিস??
পাঠক আর লখতে রুচি হচ্ছে না
আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন: শিক্ষকটির ইমেজ কেমন ছিলো যে নস্ট হবে?